সোমবার দফায় দফায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয় কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের। প্রথমে সোমবার রাতে দু’বার এবং মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নিজে কথা বলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। সেখানেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। অবশেষে দুপুরে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি রূপেশ কুমার কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। এরপরেই বের হয় সমাধান সূত্র।
প্রায় ন’ফুটের ব্যারিকেড সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর ফিয়ার্স লেনের কাছে থাকা ছোট ব্যারিকেডগুলিও এক এক করে সরানো হয়। ‘তোমার আমার এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান তুলে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। সকলের মধ্যেই একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কখনও স্লোগান দিতে দিতে, কখনও গান গাইতে গাইতে তাঁরা এগিয়ে যান। চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল এরপর লালবাজারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। আন্দোলনকারীরা কোনও কড়া মনোভাব দেখাবেন বা আচরণ করবেন না বলে আশ্বাস দেওয়া হয় সিপি-কে।
যে প্রতীকী মেরুদণ্ড নিয়ে গতকাল থেকে তাঁরা আন্দোলন চালাচ্ছেন সেটিকেও সঙ্গে নিয়ে যান লালবাজারে। প্রসঙ্গত, সোমবার ‘লালবাজার অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের মিছিল লালবাজারের আগে ফিয়ার্স লেনের কাছে আটকে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ মিছিল আর এগোতে না দেওয়ায় রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। রাতভর সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা।
