আরও একটি ছবিতে দেখা যায় এক পুলিশ কর্মীকে। বউবাজার থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, তাঁর নাম সুশান্ত সরকার। বউবাজার থানার সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত তিনি। মঙ্গলবার সকালে তিনি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের চা-বিস্কুট, ফ্রুট জুস দিয়েছেন। শুধু উনি নন, বউবাজার থানা-সহ অন্যান্য বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে সেইদিন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পানীয় জল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মীদের কয়েকজনের ‘গাফিলতি’ বা ‘অকর্মণ্যতার’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু একজনের ভুলের জন্য কি সবাইকে দোষারোপ করা যায়? ওই পুলিশ আধিকারিক জানালেন, ‘মানছি আমাদের পুলিশ অফিসারদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের হয়তো দোষ থাকতে পারে। তাই বলে কি সব পুলিশ অফিসারই খারাপ?’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা সারা বছর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আউটপোস্টে থাকি। রোগী ভর্তি নিয়ে ডাক্তার এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে প্রায়শই গোলমাল হয়। সেই সময় আমরা ঢাল হয়ে দাঁড়াই। রোগীর পরিজনরা অনেক সময় ডাক্তারদের উপর মারমুখী হন বিভিন্ন কারণে।তখন তো আমরাই সামাল দিই।’
‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়ে হচ্ছে বড়’। এমন একটি স্লোগান গত কয়েকদিনে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে পাল্টা স্লোগান লেখা ছবিও শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে অনেক পুলিশ কর্মীদের। কেমন ভাবে নিচ্ছেন পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এই স্লোগানকে? পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেক পুলিশ অফিসার আছেন যাঁরা ডিউটির চাপে নিজেদের মেয়েদের নিয়ে চিন্তা করার সময় পান না। মেয়েকে সময় দিতে পারেন না। তাঁরা কী ভাবে বড় হয়ে উঠছেন আমাদের দেখারও সময় থাকে না। একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের অধিকাংশ পুলিশ অফিসাররা বা কর্মী সকল খেয়াল রাখেন। আবার বলছি, সবাই খারাপ হয় না।’