সে সময়ে বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী কটাক্ষ করে তাঁদের ‘অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি গ্যাং’ বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল অনেক কু-কথাও। কিন্তু ব্রাত্য সে পথে হাঁটেননি। পুরস্কার ফিরিয়েও সে কথা মানছেন অনেকে।
ব্রাত্যর কথায়, ‘নাটকের যাঁরা পুরস্কার ত্যাগ করেছেন, তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছি। তাঁদের অধিকার রয়েছে। তাঁরা তাঁদের কাজ করেছেন।’ যদিও মন্ত্রীর সংযোজন, ‘নাটকের যিনি পুরস্কার ত্যাগ করেছেন, তিনি বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন। তার পরেও নাট্য অ্যাকাদেমি তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। কারণ আমাদের সরকার প্রতিভা ও শিল্পচর্চাকেই বিবেচনা করে। রাজনৈতিক রং ও আনুগত্য দেখে পুরস্কার দেওয়া হয় না।’
প্রসঙ্গত, নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন ১৯৯৬ সালে বামফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে বিধানসভা ভোটে লড়েন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্রাত্য বলতে চেয়েছেন চন্দনের কথাই। আর চন্দন বলছেন, ‘আমি নাট্যকার ব্রাত্য বসুকে শ্রদ্ধা, সম্মান করি। ব্রাত্যকে মানুষ তাঁর রাজনৈতিক কাজের থেকেও বেশি মনে রাখবেন তাঁর নাটকের কাজ নিয়ে। তবে আমি এখন আর কোনও রাজনৈতিক দল করি না। আমার দ্বিশতাধিক নাটকে কোথাও কোনও দলের প্রতি সমর্থন বা বিরোধিতা নেই।’
এই একই চিত্র দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে। দেশজুড়ে হিংসা ও অসহিষ্ণুতার ঘটনা বাড়তে থাকায় একে একে কেন্দ্রীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বহু বিশিষ্ট মানুষ। ‘অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি গ্যাং’ বলে তাঁদের দাগিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির অনেকে। তবে ব্রাত্য এ দিন বলেন, ‘প্রত্যেকেরই পুরস্কার ত্যাগ করার অধিকার রয়েছে। তাঁরা করতেই পারেন। শুধু এটুকু বলব, এর পরে দেশে কোনও ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রেও যেন তাঁরা এ রূপ আচরণ করেন।’
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত। তাঁর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কেউ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে ব্যঙ্গ করলে এবং আমার মনন-বুদ্ধি যদি এ রকমই থাকে, তা হলে তখনও আমি তা ফেরত দেব।’