একটি অরাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কী ভাবে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের পতাকা পোড়ানো হয়? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা কুণাল। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও কখনও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না। অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে এটা করল। নাগরিকদের আবেগ, প্রতিবাদের সুযোগের আড়ালে অন্য উদ্দেশ্য সাধন হচ্ছে। নাগরিকদের প্রতিবাদকে সমর্থন।’
দলীয় পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বিজেপির তরফেও। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান, বেশ কিছু জায়গায় তাঁদের পতাকা পোড়ানো হয়েছে বলেও খবর এসেছে। সজল বলেন, ‘আমি এই পতাকা পোড়ানো কোনওভাবেই সমর্থন করি না। আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে কিছু লোকজন। জনসাধারণের আন্দোলনের মাঝে ঢুকে গিয়ে কিছু দুর্বিনীত এই কাজ করছে। এই কাজ কোনও অতি-বাম লোকজন করছে কিনা, সেটা খোঁজ নেওয়া দরকার। তাদের খুঁজে বের করে চামড়া গুটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে একটি কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, নাগরিক সমাজের তরফেও কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শ্যামবাজার মোড়ের কাছেও এই ধরনের প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল।