বিশ্বভারতীর হস্টেলে মিলল বারাণসীর ছাত্রীর দেহ! অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে…


প্রসেনজিত্‍ মালকার: বিশ্বভারতীর ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। আর তা ঘিরেই উত্তেজনা। বিক্ষোভ আম্রপালি হস্টেলে।  বারাণসীর বাসিন্দা বিশ্বভারতীর ছাত্রী অনামিকা সিংয়ের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনে তিনি পড়াশোনা করছিলেন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ নাগাদ আম্রপালি গার্লস হোস্টেলে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, ওই ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার করার পর প্রথমে তাঁকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

দেহ উদ্ধারের পরই বারাণসীতে ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও, এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনায় পুলিসের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। হস্টেলের সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে পুরো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা হতবাক ও মর্মাহত। শিক্ষার্থী এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া বিশ্বভারতী প্রশাসন এই বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন কেউ গুজব না ছড়ায় এবং তদন্তের ওপর বিশ্বাস রাখে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ এই ঘটনার পিছনে কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে। ঘটনার পর রাতেই শান্তিনিকেতন থানার পুলিস হোস্টেলে পৌঁছালে, ছাত্রছাত্রীরা তাদের আটক করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিক ছাড়াই পুলিস কীভাবে হস্টেলে প্রবেশ করল? তারা ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত বীরভূম জেলা পুলিস সুপার (বোলপুর) রাণা মুখোপাধ্যায় ও বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে কর্মসচিব অশোক মাহাতো, নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় ও ছাত্র পরিচালক গণেশ মালিক উপস্থিত হন। পড়ুয়ারা তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। হস্টেলের মূল গেটে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই কেন বলে প্রশ্ন তোলে।

পুলিস জানিয়েছে, তথ্যপ্রমাণ যাতে লোপাট না হয়, সেই কারণে দ্রুত ঘরটি সিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও পরে পুলিসের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে স্বাভাবিক হতে রাত তিনটে বেজে যায়। ছাত্রীদের প্রতিনিধি দেবমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “বিকেলে ঘটনা ঘটেছে, আর পুলিস রাতের বেলা হস্টেলে এসেছে, তাও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ছাড়া। এছাড়া হস্টেলের গেটে সিসি ক্যামেরা নেই এবং বিশ্বভারতীর হাসপাতালে কোনও পরিকাঠামো নেই। আমরা এর বিচার চাই।” 

আরও পড়ুন, Sandip Ghosh: ‘অপা’, ‘দোতারা’র পর ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’! হদিশ মিলল কুকর্মে ‘রঙিন’ সন্দীপের বাংলো বাড়ির…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *