কিন্তু, সেই কমিটিতে হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের নাম রয়েছে জেনে বেঁকে বসলেন চিকিৎসকরা। সুপারের সঙ্গে আরও তিন ডাক্তার সম্পর্কে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গত ২ তারিখ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় বসেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের কয়েকদফা দাবির মধ্যে ছিল কলেজে থ্রেট কালচারের জনক অভীক দে ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে ১১ তারিখ রাত ১১টার সময়ে কী ভাবে লেকচার হল খুলে অভীক দে কয়েকশো ছাত্রছাত্রীকে কার্যত হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন তারও তদন্ত করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তুলে দিতে হবে তাঁদের হাতে।
সেদিন অধ্যক্ষ জুনিয়র চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, তাঁদের সব দাবি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হবে। ২১ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে কমিটি। কিন্তু, জুনিয়র ডাক্তাররা জানতে পারেন, ওই কমিটিতে অভীক দে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন চিকিৎসকের নাম রয়েছে। এর পরই বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকরা ফের চিঠি দেন অধ্যক্ষকে।
সেখানে তাঁরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, কলেজ যে তদন্ত কমিটি তৈরি করছে, সেখানে কোনও অবস্থাতেই দেবাশিস বিশ্বাস, সুব্রত সেন, সুমন্ত ঘোষমৌলিক ও হাসপাতালের সুপার এবং কলেজের ডিন তাপস ঘোষের নাম রাখা যাবে না।
আন্দোলনরত এক পিজিটি বলেন, ‘একটি সূত্র থেকে আমরা জানতে পারছি, অধ্যক্ষ যে তদন্ত কমিটি তৈরি করতে চলেছেন সেখানে এই ৪ জন চিকিৎসককে রাখা হচ্ছে। এঁরা প্রত্যেকেই বিরূপাক্ষ ও অভীক ঘনিষ্ঠ। এঁদের রেখে নিরপেক্ষ তদন্ত কোনও ভাবে সম্ভব নয়। আমরা লিখিত ভাবে আমাদের দাবির কথা অধ্যক্ষ ম্যামকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।’
এ প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা তাদের দাবির কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছে। ওদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনও আমরা কমিটি চূড়ান্ত করিনি। ফলে ওদের দাবির বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখা হবে।’