এই সময়: গত বছরের তুলনায় এ বার কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমলো প্রায় ৮৩ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুর-এলাকায় ১৯৩৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর সেই সংখ্যা ৩৩১। জেলাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশে নেমেছে। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ডেঙ্গি পর্যালোচনা বৈঠকে এই তথ্য পেশ করা হয়।এটাকে নিজেদের বড় সাফল্য বলেই দাবি করছেন পুরকর্তারা। সারা রাজ্যে ডেঙ্গি এখনও নাগালের মধ্যে থাকলেও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অফিসারদের সতর্ক করেছেন মুখ্যসচিব। বিশেষ করে পুজোর সময়ে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য কীটপতঙ্গ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস বিশ্বাস জানাচ্ছেন, এ বছর কলকাতায় অনেক আগে থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ শুরু করা হয়েছিল। অন্য বছর জুলাই মাস থেকে পুরসভার ডেঙ্গি সংক্রান্ত হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মিটিং শুরু হতো। এ বছর ১৯ এপ্রিল সেটা শুরু হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য কীটপতঙ্গ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস বিশ্বাস জানাচ্ছেন, এ বছর কলকাতায় অনেক আগে থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ শুরু করা হয়েছিল। অন্য বছর জুলাই মাস থেকে পুরসভার ডেঙ্গি সংক্রান্ত হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মিটিং শুরু হতো। এ বছর ১৯ এপ্রিল সেটা শুরু হয়েছে।
যার ফলে কাউন্সিলার, স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা আগে থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়েছেন। তার ফলে এ বছর ডেঙ্গি এখনও মাথাচাড়া দিতে পারেনি।
তাঁর ব্যাখ্যা, ‘শুকনো জায়গাতেও আট মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত মশার ডিম বেঁচে থাকে। বর্ষার জল পড়লেই ডিম ফুটে প্রথমে লার্ভা এবং পরে সেটা বড় হয়ে মশা হয়। ডেঙ্গিরও বাড়বাড়ন্ত হয়। এ বছর বর্ষার আগেই জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল বলে মশার ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গিও কম।’