বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শুরু হয় দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই খুন এবং ধর্ষণের মামলা। এ দিন অভিযুক্তের আইনজীবী কবিতা সরকার সঞ্জয়ের পক্ষ সওয়াল করতে উঠে বলেন, ‘সিবিআইয়ের তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। জামিন দেওয়া হোক মক্কেলকে।’ বিচারক জানতে চান, সিবিআইয়ের তরফে কে রয়েছেন?’ তখন এদিকে-ওদিক দেখতে থাকেন আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশ।
ওই সময়ে সিবিআইয়ের এক সহকারী তদন্তকারী মহিলা অফিসার উঠে দাঁড়িয়ে বিচারককে বলেন, ‘আইনজীবী আসছেন। রাস্তায় আছেন।’ এর পর বিচারকের অনুমতি নিয়ে আদালত কক্ষের বাইরে গিয়ে তিনি ফোন করেন। এই ঘটনা দেখে সিবিআইয়ের পক্ষে ওই অফিসারের কিছু বলার অনুমোদন আছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কবিতা।
এর পর ফের আদালতে ঢুকে বিচারকের উদ্দেশে ওই মহিলা অফিসার বলেন,‘একটু দেরি হচ্ছে। রাস্তায় আছেন।’ তাতেই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারক। তিনি কার্যত ধমকের সুরে বলেন, ‘এটা সিবিআইয়ের চরম গাফিলতি। বিকেল ৪টে ৫৭ মিনিট। এখনও সরকারি আইনজীবী রাস্তায়! তা হলে আমি কী করব? বেল দিয়ে দেব? ইট ইজ় ভেরি আনফরচুনেট!’
এ দিন ধৃতের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনায় যুক্ত নন। উচ্চ আদালতেও অভিযুক্তের কোনও জামিন মামলা আটকে নেই। কলকাতার বাসিন্দা, বহিরাগত নন। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক। বিচারকের ক্ষোভ প্রকাশের প্রায় ৪০ মিনিট পরে শিয়ালদহ আদালতে পৌঁছন সিবিআই-এর লিগাল সেলের কৌঁসুলি। দাবি করেন, তিনিই সরকারি পিপি। এর পর জামিনের বিরোধীতা করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেন ওই আইনজীবী। সিবিআইয়ের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ধমক দিলেও আদালত তা মঞ্জুর করে।
