তবে এ দিন সওয়াল-জবাব চলাকালীন বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়। এই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচে জামিনে মুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে সিবিআইয়ের তলব করা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এ দিন এজলাসে লালার আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘আমার মক্কেলকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছে। তবে সেই নোটিস হাতে হাতে দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে মেল করে। পাশাপাশি কেন তাঁকে তলব করা হয়েছে, কী হিসেবে তাঁকে এই তলব, সাক্ষী না অভিযুক্ত, তার কোনও উল্লেখ নেই সেই নোটিসে।’
লালার আইনজীবীর এই সওয়ালের পরে বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারের কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চান। এমনকী বিচারক বলেন, ‘শুধু উনি নন, অন্য কারও ক্ষেত্রেও এ ভাবে কোনও মেল পাঠানো যায় না। নোটিসে পারপাস উল্লেখ করতেই হবে।’ কিন্তু রাকেশ কুমার এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি।
তাই খানিকটা ভর্ৎসনার সুরে বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘চার্জশিট জমা হয়ে যাওয়ার পরে চার্জ গঠনের আগে কি কাউকে এ ভাবে তলব করা বা ডাকা যায়? যদি তলব করাও হয়, সে ক্ষেত্রে কী কারণে, কী হিসেবে এই তলব তা তো বলতে হবে।’ শুনানি শেষে লালার আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ দিন বিভিন্ন কারণে চার্জ গঠন করা হয়নি। তার মধ্যে রয়েছে আমার মক্কেলকে নোটিস পাঠানোর বিষয়টি।’
এ দিন চার্জশিটে নাম থাকা ৫০ জনের মধ্যে এজলাসে হাজির ছিলেন ৪৯ জন। ইসিএলের প্রাক্তন আধিকারিক নরেশ সাহা অসুস্থতার কারণে ভিন রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান।