Migratory Labours,’বাঙালিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিদ্বেষ’, রাজস্থানে মালদার শ্রমিকের মৃত্যুতে সরব তৃণমূল, পাল্টা খোঁচা বিজেপির – malda migratory worker family got financial help from west bengal government


‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি বিরোধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ রাজস্থানে কাজে গিয়ে মালদার শ্রমিকের মৃত্যুতে সরব তৃণমূলের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। রবিবার নিহত শ্রমিক মতি আলির (৪২) পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন-সহ প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া এবং শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের সদস্য রফিকুল হোসেন। ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ করেন তাঁরা। বাংলায় কর্মসংস্থানের অভাব নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের।রবিবার নিহত শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তাজমুল বলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলার মানুষদের সহ্য করতে পারছে না।’ এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ নিয়ে আসার খরচ ২৫ হাজার টাকা-সহ মোট ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। সেচ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে বিশেষ করে কলকাতা ও হাওড়ায় প্রচুর ভিন রাজ্যের মানুষ কাজ করেন। কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু ক’দিন আগেই হরিয়ানায় একজনকে খুন করা হয়েছে। এ বার রাজস্থান। এই ঘৃণ্য পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তৃণমূলের দাবির পাল্টা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখুক। মারধরের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তবে, তৃণমূলের লোকজন পরোক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছেন, বাংলায় কর্মসংস্থান নেই। সেই কারণে হাজার হাজার শ্রমিককে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হচ্ছে। বাংলায় যে কাজের অভাব রয়েছে, সেটা নিয়ে কেন প্রতিবাদ করা হচ্ছে না?’

মালদায় আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক হাতুড়ে চিকিৎসক
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন মতি। তাঁর মৃত্যুতে অথৈ জলে দুই নাবালক সন্তান-সহ গোটা পরিবার। রাজস্থানে ওই শ্রমিককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করা হয়েছে। মতি আলির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের মিসকিনপুর এলাকায়। কুড়ি বছর আগে রাজস্থানে যান কাজের সন্ধানে। জয়পুর শহরের একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন মতি। কাজের সূত্রে ওড়িশা-বিহারের বেশ কিছু সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে খেতে বসে সহকর্মীদের সঙ্গে বচসা হয়। বচসার পরেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর। মতির পেটে জোরালো আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। দু’দিন চিকিৎসা চলার পর শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *