Patient Welfare Association,নেতা-মন্ত্রী নন, এ বার অধ্যক্ষই রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান – principal will be chairman of west bengal patient welfare association


এই সময়: হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতি নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। আরজি করের ঘটনার পরে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রে রোগীকল্যাণ সমিতি।নিয়ম না থাকলেও সাধারণত জনপ্রতিনিধিরাই রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হন। মেডিক্যাল কলেজ এবং টিচিং হাসপাতালগুলিতে এ বার থেকে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন অধ্যক্ষরাই। সোমবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই কমিটিতে সিনিয়র এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটির সদস্য হিসেবে স্থানীয় বিধায়ককে রাখা হবে বলে জানান মমতা। এর ফলে হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজে নেতাদের খবরদারি কমবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কমিটিতে চিকিৎসক এবং নার্সদের অন্তর্ভুক্তিতে স্বচ্ছতা আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এ দিনের বৈঠকে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার প্রসঙ্গ উঠলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিকিউরিটি রাখার দরকার হলে হসপিটালগুলো নিজেদের টাকায় অ্যারেঞ্জ করবে। রোগীকল্যাণ সমিতি রয়েছে সেখানে। এই বিষয়টি স্বাস্থ্যসচিব দেখবেন। পুরো বিষয়টিতে সমন্বয়ও করবেন তিনি।’ কারণ হিসেবে মমতা বলেন, ‘পুলিশের একার পক্ষে সব নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। হাসপাতালের বিভিন্ন ব্লকে নিরাপত্তার দেখার জন্য রোগীকল্যাণ সমিতি রয়েছে। তারা নিরাপত্তা দেবেন।’

এর পরেই তিনি বলেন, ‘আমি বলছি, এখন থেকে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান থাকুন প্রিন্সিপালরাই। সঙ্গে এক জন সিনিয়র ডাক্তার, এক জন নার্স, এক জন জুনিয়র ডাক্তারকেও রাখতে হবে ওই কমিটিতে। পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানার আইসি বা ওসি থাকবেন। সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ককে রাখতে হবে।’

২০১৬ সালে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশিষ্ট জনেদেরও এই সমিতিতে রাখা হয়। তবে মেডিক্যাল কলেজ ছাড়া অন্য হাসপাতালে যেহেতু অধ্যক্ষের পদ নেই, সেখানে কে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন, তা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা প্রকাশ হলে স্পষ্ট হবে।

হাসপাতালে নিরাপত্তায় ১৫০ কোটি, জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা মুখ্যসচিবের

বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের তত্ত্বাবধান করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে যে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে, বিষয়টা তারা দেখলে ভালো হয়।’ সঙ্গে সঙ্গে ‌তা খারিজ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের পক্ষে এত কিছু দেখা সম্ভব নয়। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই পুলিশকে করতে হয়। এটা সুপার বা প্রিন্সিপালদেরই দেখতে হবে। সেই জন্যই রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে অধ্যক্ষদের বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।’

এর পরেই মমতা নির্দেশ দেন, ‘কোনও এজেন্সি ঠিকমতো কাজ না করলে, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। এফআইআর হবে। ফৌজদারি কেস করা হবে। নতুন এজেন্সিকে দায়িত্ব দিলে আগেই তাদের কাছ থেকে হলফনামা নিতে হবে। যাতে নিয়ম লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রোজই তাদের কাজের মনিটর করতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *