Rg Kar Protest,নৈহাটিতে হামলায় গ্রেপ্তারি শূন্য, শুরু রাজনীতির তরজা – no one arrested in rg kar protest march attack at naihati


এই সময়, নৈহাটি: আরজি কর ইস্যুতে নৈহাটিতে বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীদের প্রতিবাদ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার রাতের সেই ঘটনায় সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। যদিও ঘটনায় কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। বিরোধী সিপিএম, বিজেপির অভিযোগ, হামলাকারীরা শাসক দলের হওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না পুলিশ।নৈহাটিরই বাসিন্দা তথা ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘প্রাক্তনীদের অরাজনৈতিক মিছিলে রাজনৈতিক স্লোগান তোলা হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন ওই মিছিলে থাকা কয়েকজন। তাতে গণ্ডগোল হয়েছে। আমি পুলিশকে বলেছি ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, (হামলাকারীরা) যে দলেরই হোক না কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।’

ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘রবিবার রাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি সুয়োমোটো বা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে।’ রবিবার রাতে নৈহাটির বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। স্বপ্নবীথি পার্ক থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিলে সিপিএমের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী প্রয়াত রঞ্জিত কুন্ডুর মেয়ে যেমন ছিলেন, তেমনই নৈহাটি পুরসভার পুরপ্রধানের ছেলে তৃণমূলের যুবনেতা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও লোকজন ছিলেন।

মিছিলে ছিলেন নৈহাটির বাসিন্দা, সঙ্গীতশিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়ও। ঘোষপাড়া রোডে ধরে এগনোর সময় রামকৃষ্ণ সিনেমার মোড়ের কাছে আচমকাই মিছিলে থাকা দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। যা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, হামলাকারীদের হাত থেকে বাদ যাননি মহিলারাও৷ তাঁদের মারধরের পাশাপাশি পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আক্রান্তদের অভিযোগ, মিছিলে তৃণমূলের লোকজন ঢুকে হামলা চালিয়েছে। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিবাদীদের মারধর করেছে। রেহাই পায়নি মহিলারাও।’ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বক্তব্য, প্রাক্তনীদের মিছিলে সব রাজনৈতিক দলেরই লোকজন ছিলেন। সেখানে আরজি করের বিচারের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রাজনৈতিক স্লোগান তুলতে থাকে একপক্ষ।

নৈহাটিতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে হামলা, মারধরের অভিযোগ

তারই প্রতিবাদ করেন ওই মিছিলে থাকা কয়েকজন। তাতেই গণ্ডগোল। অভিযোগ, যাঁরা রাজনৈতিক স্লোগান তুলছিলেন, তাঁরা রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করেন। একপক্ষ এগোতে চাইলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। এমনকী আটকে পড়া অ্যাম্বুল্যান্স যেতে দিতে রাজি না হওয়ায় হাতাহাতি হয়েছে।

পার্থ বলেন, ‘প্রাক্তনীদের মিছিলে স্লোগান ওঠে, বোড়েকে ছেড়ে রানিকে ধর। সেটা কি প্রাক্তনীদের মিছিলের উদ্দেশ্য ছিল? স্বাভাবিক ভাবেই যারা সিপিএম-বিজেপি করেন না তাঁরা প্রতিবাদ করেন। তা থেকেই তর্কাতর্কি, ঝামেলা হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *