Sandip Ghosh,সন্দীপের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বহরমপুরেও! – rg kar ex principal sandip ghosh flat found in baharampur gorabazar


এই সময়, বহরমপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের পরে এ বার সন্দীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের হদিশ মিলল বহরমপুরের গোরাবাজারে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ যখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন, তখনই ওই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন বাবুপাড়ার ওই আবাসনের বাসিন্দারা।পাঁচতলায় শুধু ফ্ল্যাট নয়, নীচে একটি গ্যারাজও রয়েছে তাঁর নামে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, আগে যখনই তিনি এই ফ্ল্যাটে আসতেন, সঙ্গে অনেকেই থাকতেন। সারাদিন ধরে ফ্ল্যাটে অনেকে আসা যাওয়াও করত। তবে ৩-৪ বছর ধরে ওই ফ্ল্যাটে আর কেউ আসেনি। তালাবন্ধ হয়েই রয়েছে। আবাসিকদের দাবি, অনলাইনেই রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মিটিয়ে দিতেন সন্দীপ।

আবাসনের নীচে থাকা গ্যারাজটি বর্তমানে ইসলামপুরের এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে ক্যানিং ২ ব্লকের ঘুটিয়ারি লাগোয়া নারায়ণপুর মৌজায় বিলাসবহুল দোতলা বাংলোর খোঁজ পেয়েছিল ইডি। এ বার আতস কাচের তলায় সন্দীপের বহরমপুরের ফ্ল্যাটও।

বছর দশেক আগে ফ্ল্যাট কেনার পরে গৃহপ্রবেশের সময়ে সন্দীপের স্ত্রী এসেছিলেন। তারপর তাঁকে আর দেখা যায়নি। আবাসনের কারও সঙ্গে কথা বলতেন না তাঁরা। তবে আরজি করের ঘটনায় সন্দীপের কীর্তিকলাপ প্রকাশ্যে এলে আবাসিকরাও তাঁর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।

সন্দীপ এবার ইডি-র নজরেও

আবাসনের নিরাপত্তরক্ষী জগন্নাথ দাস বলেন, ‘৩-৪ বছর এই ফ্ল্যাটে আর কেউ আসেনি। ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডাক্তারবাবু টাকা পাঠিয়ে দিতেন। গ্যারাজটি অন্য একজনকে ভাড়া দিয়েছেন।’ আবাসনের আর এক বাসিন্দা কবিতা রায় বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কোনওদিনই আমাদের পরিচয় ছিল না। কথাও হতো না।’

আবাসনের বাসিন্দা অনন্যা রায়চৌধুরী বলেন, ‘গৃহপ্রবেশের সময়ে সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী এসেছিলেন। উনি আমাদের ঘরে এসে গৃহপ্রবেশের জন্য নারায়ণ পুজোয় আসার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তারপর আর তাঁকে ফ্ল্যাটে আসতে দেখিনি। কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে সন্দীপ একাই আসতেন। কয়েক ঘণ্টা থেকে চলে যেতেন। আমরা তাঁদের কখনও এই এলাকায় দেখিনি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *