জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সংরক্ষক নভোজিত দে বলেন, ‘পর্যটকদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে আসন্ন পর্যটন মরসুমে জলদাপাড়ার দ্বিতীয় গেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সেখানে একটি সুদৃশ্য গেট তৈরি করা হবে। সঙ্গে মাদারিহাটের মূল গেটটিকেও সংস্কার করে সাজানো হয়েছে।’
এত দিন হলং রাইডিং পয়েন্ট থেকে মোট ছয়টি কুনকি হাতিকে পর্যটকদের সাফারির জন্য ব্যবহার করা হতো। এ বার থেকে আটটি হাতিকে সাফারি পরিষেবার কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে হাতি সাফারির রুটও। আগে যা সীমিত ছিল ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে, এখন তা বাড়িয়ে ১৮২ কিলোমিটার করা হয়েছে। তবে জনপ্রতি হাতি ও জিপসি সাফারির বুকিং মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। হাতি সাফারি যথারীতি তিন ধাপেই হবে।
প্রথম এক ঘণ্টার জন্য সাফারি শুরু হবে সকাল সাড়ে ৬টায়। দ্বিতীয় দফায় শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। তৃতীয় ধাপে শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। প্রতিটি কুনকি হাতিতে মোট চার জন পর্যটক ওঠার সুযোগ পাবেন। জিপসি সাফারির সময়ও অপরিবর্তিত থাকছে। এক-একটি জিপসিতে সর্বোচ্চ ছয় জন পর্যটক সাফারি করতে পারবেন। বর্ষার সময়ে জঙ্গলের ঘাস ও লতাপাতা-ঝোপঝাড় বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি জঙ্গল রুটকে সাফসুতরো করে দেওয়া হয়েছে। মেরামত করা হয়েছে জঙ্গলের মাটির রাস্তাগুলিও।