জেলার কমবেশি সব ব্লকেই একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলতে শুরু করে। ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে থাকে ওন্দা ব্লকের পুনিশোল গ্রামে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় এখনও পর্যন্ত ৭৩৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। পুনিশোলেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০। জেলার ২৭৬ জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
আক্রান্তদের একাংশ জেলার বিভিন্ন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। বাকিদের চিকিৎসা চলছে বাড়িতেই। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত সপ্তাহে শনিবার ও চলতি সপ্তাহের সোমবার দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত একজনের বাড়ি ইন্দপুর ও অন্য জনের বাড়ি ওন্দা ব্লকে। ওন্দার পুনিশোল গ্রামে ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিতে থাকায় ওই গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প খুলে রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা জুড়ে চলছে সচেতনতা প্রচারও।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি অর্পণ কুমার গোস্বামী বলেন, ‘এই মুহূর্তে হাসপাতালে মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ৭ জন, ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫ জন, সিসিইউ-তে ১ জন এবং অন্যান্য ওয়ার্ডে ১৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের কিডনি সমস্যা ছিল।