Snake Bite,চন্দ্রবোড়ার ছোবল খেয়েও প্রাণরক্ষা, ডাক্তারকে প্রণাম – woman recovered from snake bite returned home from canning sub division hospital


এই সময়, ক্যানিং: স্ত্রীকে সাপে কামড়ানোর পরেই ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছিলেন স্বামী। বিষ যাতে রক্তের সঙ্গে বেরিয়ে যায় তাই তাঁর এই চেষ্টা। এর পরেই তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় নিস্তেজ হয়ে পড়েন মহিলা।১৫ দিন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় ওই মহিলার চিকিৎসা করেন। যমে-মানুষে লড়াইয়ে শেষে জয়ী হন চিকিৎসকই। সুস্থ হয়ে বুধবার ওই মহিলা ঈশ্বর স্বরূপ সমরেন্দ্রনাথ রায়কে হাত জোড় করে প্রণাম করে বাড়ি গেলেন। তার সঙ্গে হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও তাঁরা ধন্যবাদ জানান।

জানা গিয়েছে, দিন সতেরো আগে বাগানে কাজ করার সময়ে সাপে কামড়ায় বারুইপুরের বৃহস্পতি নস্কর নামে এক মহিলাকে। বৃহস্পতি জানান, ঝোপের মধ্যে থেকে চন্দ্রবোড়া সাপ বেরিয়ে তাঁর ডান পায়ে কামড়ায়। তাঁর স্বামী ইন্দ্রজিৎ নস্কর স্ত্রীর ক্ষতস্থানটি ব্লেড দিয়ে কেটে দেন। এর পর ক্ষতস্থান শক্ত করে বেঁধে দিয়ে সময় নষ্ট না করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। শুরু হয় চিকিৎসা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতির শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ায় তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। স্বামী ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছয় যে আমরা ভাবছি এই বোধ হয় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। কিন্তু হাল ছাড়েননি ক্যানিং হাসপাতালের ডাক্তারবাবু সমরেন্দ্রনাথ রায়। আমার চোখের সামনে টানা প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে পাম্প করার পরেই আমার স্ত্রী চিকিৎসায় সাড়া দেন।’

ফের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু: দায়ী কি কর্মবিরতি, বিতর্ক

কিন্তু বৃহস্পতির সুস্থ হতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে। যমে মানুষে লড়াই শেষে ১৫ দিন পরে তিনি বাড়ি ফিরলেন বুধবার। চিকিৎসক, নার্সদের কাছে কৃতজ্ঞ নস্কর পরিবার। তাই এ দিন ছেলে বিদ্যুৎকে নিয়ে বৃহস্পতি ফের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আসেন। সেখানে সমরেন্দ্রনাথকে দেখেই হাত জোড় করে প্রণাম করে বৃহস্পতি বলেন, ‘আপনি ভগবান। আমাকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছেন। শুধুমাত্র আপনাকে প্রণাম করতেই আমি হাসপাতালে এলাম।’

ছেলে বিদ্যুৎ নস্কর বলেন, ‘আমরা একেবারেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু যে ভাবে ডাক্তারবাবু মায়ের চিকিৎসা করেছেন, তা কোনও দিন ভোলার নয়। আমরা সবাই কৃতজ্ঞ।’ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘বারুইপুর থেকে আসা ওই মহিলাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে পেরেছি। তিনি এ দিন সাক্ষাৎ করতে এসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। এখন ওই মহিলা ভালো আছেন, চিকিৎসক হিসেবে এটাই আমার বড় পাওনা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *