গত সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান কুতুবউদ্দিন মোল্লা কুলপির বিডিও এবং থানায় গাছ কাটা বন্ধ করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। কুতুবউদ্দিন বলেন, ‘আব্দুর রহিম মোল্লার মদতে আবুল বাসার মোল্লা এই গাছগুলো কেটেছে। আইন মেনে এই গাছ কাটা হয়নি। এই গাছ বিক্রির টাকা সরকারি খাতে জমা না হয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমি বিডিও এবং পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’
কুলপি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বন্দনা কর্মকার বলেন, ‘আমরা এখনও ঠিক ভাবে জানতে পারিনি কারা সরকারি গাছ কেটেছে বা ক’টা গাছ কাটা হয়েছে? খোঁজখবর নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখা হবে।’ কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, ‘সোমবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখব, গাছগুলো কেন কাটা হয়েছে? একই সঙ্গে বনদপ্তর এবং কুলপি থানার কাছে অভিযোগ পাঠাব। যদি গাছগুলো বেআইনি ভাবে কাটা হয়ে থাকে, তা হলে আইন মেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাছ কাটার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর হুমকির মুখে পড়তে হয় সংবাদ মাধ্যমকে। সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ফোনে বলেন, ‘সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও সরকারি গাছ কাটা হয়নি। চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী কোনও প্রমাণ দিতে পারবেন না।’