জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: “আমরা সরকার বিরোধী হতে পারি, কিন্তু বাংলার মানুষের বিরোধী হতে পারব না। বাংলার মানুষের বিরোধী কী করে হব!” টেক্কা ছবির টিজার লঞ্চে গিয়ে বললেন সাংসদ দেব। তিনি বলেন, “এই ১৭-১৮ বছরে দেবকে দেব বানিয়েছে, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষ। কোনও সরকার আমাকে দেব বানায়নি। আমরা সরকার বিরোধী হতে পারি, কিন্তু বাংলার মানুষের বিরোধী হতে পারব না। দুটো আলাদা জিনিস। সরকারের সঙ্গে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বাংলার অন্য মানুষের সঙ্গে কী করে সমস্যা হবে! আমি আজকে জাস্টিস পাওয়ার জন্য বাংলার অন্য মানুষদের জাস্টিস পাওয়ার থেকে ফিরিয়ে দিলাম, সেটা কী করে হয়!”
দ্বর্থ্যহীন ভাষায় ব্যাখ্যা করেন উত্সবেরও। অভিনেতা সাংসদ দেব স্পষ্ট জানান, “যেটা তোমাদের কাছে বিনোদন, সেটা আমার কাছে কাজ। উত্সব কী? উত্সব এসেছিল ব্রিটিশ ভারতে মানুষকে এক রাখতে। একসূত্রে বাঁধতে। উত্সব মানে শুধু সেলিব্রেশন নয়। উত্সবের সঙ্গে প্রতিবাদেরও কোনও বিরোধ নেই। উত্সব তো তোমায় প্রতিবাদ করতে আটকাচ্ছে না। উত্সব মানে মানুষ এক হবে। মানুষ দেখা করার সুযোগ পাবে। আলোচনা করার সুযোগ হবে।” এপ্রসঙ্গে বাঘাযতীনের শ্যুটিং থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন দেব।
দেব বলেন, “অনেক মানুষের জীবিকা এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে। গোটা বছরের ৬-৮ মাসের খরচা এই সময়ে তাঁরা রোজগার করে। তাঁদের কী হবে! তাঁদের কথাও তো ভাবতে হবে। আজকে ১০০টা সিনেমা হলে আমার সিনেমা রিলিজ করলে যদি ১০টা লোকের কাজ হয়, আয় হয়, তাহলে সেটা আমি বন্ধ করে দিই কী করে!” সেইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ ও দাবি, “আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় যত মৃত্য়ু হয়, তার থেকে বেশি রেপ হয়। তাই আইন সংশোধন করতে হবে।” প্রসঙ্গত, এর আগেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব বলেছিলেন, “আমার মতে মেয়েদের বাঁচাতে না পারলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বেটি বাঁচাওর মতো প্রকল্পের কোনও মানে নেই।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)