আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই কর্মবিরতিতে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর গত মঙ্গলবার থেকে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পাঁচ দফা দাবি নিয়েই বৈঠক করতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সেই পাঁচ দফা দাবি ঠিক কী? যা পূরণে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা।ডাক্তাররা যে দাবিগুলি করেছেন, সেগুলি হল -প্রথমত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। এরপর তাঁদের দ্বিতীয় দাবি হল, আরজি করের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা। তৃতীয়ত, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে আরজি কর কাণ্ডে এবং আরজি কর হাসপাতালে গত ১৪ অগস্ট রাতে হামলার ঘটনা আটকাতে ‘ব্যর্থ’ কলকাতা পুলিশ। ফলত, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা দাবি করেছেন তাঁরা।
আরজি করের ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেই কারণে তাঁদের চতুর্থ দাবি, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলেই চিকিৎসকেরা কাজে ফিরতে পারছেন না বলে বারবার জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের শেষ দাবি, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
আরজি করের ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেই কারণে তাঁদের চতুর্থ দাবি, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলেই চিকিৎসকেরা কাজে ফিরতে পারছেন না বলে বারবার জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের শেষ দাবি, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
এই পাঁচটি দাবি নিয়েই স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে টানা ছয়দিন ধরে ধর্না চালিয়ে আসছেন তাঁরা। এই দাবিগুলি ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন, মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন-সহ একাধিক দাবিও রয়েছে। তবে, মূলত এই পাঁচটি দাবিকেই মুখ্য বলে মনে করছেন তাঁরা। এই দাবিগুলি পূরণ না হাওয়া পর্যন্ত বা দাবি পূরণের সঠিক আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির পথেই হাঁটছেন তাঁরা।