Bidhannagar Police: রোড রেস? অটোমেটিক ফাইন চালু নিউ টাউনেও – bidhannagar police launches automatic fine on new town roads


সকাল বেলা হাওড়া স্টেশন যাবেন বলে সুখবৃষ্টি আবাসন থেকে নিজের চারচাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন অয়ন পাল। ফাঁকা রাস্তায় লাউড মিউজিক শুনতে শুনতে অ্যাক্সিলেটরে চাপ দিয়েছিলেন মনের সুখে। ডাউন টাউন মলের আগে কোকো পাম্প পেরোতেই মোবাইলে একটা এসএমএস ঢোকার শব্দ পান। গাড়ি চালাতে চালাতে মেসেজ দেখার সুযোগ হয়নি।বিশ্ববাংলা গেট পেরিয়ে নিউ টাউন বাস স্ট্যান্ড পৌঁছাতেই আবার টুং করে বাজল মোবাইল। এ বার মেসেজ বক্স চেক করে দেখেন বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশের জরিমানা সংক্রান্ত মেসেজ। ওভারস্পিডে গাড়ি চালানোর জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল কোকো পাম্প ও টাটা ক্রোমা স্টোরের সামনে তাঁকে জরিমানা করেছে পুলিশ। আকাশ থেকে পড়লেন অয়ন। কবে থেকে অটোমেটিক ফাইন চালু হলো এই রাস্তায়?

শুধু অয়ন একা নন। নিউ টাউনের বাসিন্দারা কিংবা বাইরে থেকে নিউ টাউনে আসা অনেক গাড়ির চালকদের একই অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আসলে এতদিন বিশ্ববাংলা সরণি এবং নিউ টাউনের মূল রাস্তাগুলিতে স্পিড লিমিটের অটোমেটেড ডিসপ্লে বোর্ড থাকলেও ওভারস্পিড নিয়ে অটোমেটিক ফাইন প্রযুক্তি চালু ছিল না।

কিন্তু গত ১৫ অগস্ট থেকে কলকাতার মতো নিউ টাউনের রাস্তাতেও স্বয়ংক্রিয় ফাইন সিস্টেম চালু করেছে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ। ফলে এত দিন স্পিড লিমিট ওভার হওয়ার ব্লিঙ্ক সিগন্যাল দেখেও যাঁরা ইচ্ছামতো বেলাগাম গতিতে গাড়ি ছোটাতেন, তাঁদের এ বার মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হচ্ছে।

এত দিন নিউ টাউনের পুলিশ কখনও কখনও লেজ়ার গানের সাহায্যে ওভার স্পিডের কেস দিত। তার পরেও দুর্ঘটনায় প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে। কিছুতেই গতিতে লাগাম দেওয়া যাচ্ছিল না। তাই এনকেডিএর সহযোগিতায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পুলিশ ই-চালান কাটা শুরু করেছে। পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, এর ফলে গত ১ মাসে চালকদের মধ্যে গাড়ি গতি কমানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

নিউ টাউনের বাসিন্দা হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একই দিনে বিশ্ববাংলা গেট ও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ৫০-এর বেশি গতির জন্য আমাকে দু’বার ফাইন করা হয়েছে।’ নিউ টাউনের বাসিন্দা সৌরভ রাজের কথায়, ‘আমারও ১০০০ টাকার ই-চালান কাটা গিয়েছে। তবে পুলিশের এই পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যদিও সরকারের রাস্তাগুলো সারাই করা দরকার।’

আবার প্রিয়াঙ্কা নন্দী বলছেন, ‘ইএম বাইপাস, মা ফ্লাইওভারে স্পিড লিমিট ৬০ হলে নিউ টাউনের ফাঁকা রাস্তায় স্পিড লিমিট ৫০ থাকবে কেন। আরেকটু ছাড় দেওয়া দরকার।’

বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, বিশ্ববাংলা সরণি, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা, সাপুরজি-ইউনিটেকের রাস্তা-সহ ১২টি পয়েন্টে এনপিআর ক্যামেরা লাগানো আছে। বাস, ট্রাকের জন্য ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা এবং দু চাকা ও চার চাকার জন্য ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা সর্বোচ্চ গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছাড় দেওয়া আছে। তার বেশি হলে অটোমেটিক ফাইনের মেসেজ চলে যাবে গাড়ির মালিকের মোবাইল নম্বরে। এনকেডিএ ভবনে যে ইন্ট্রিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম আছে, সেখানে গাড়ির গতিবিধি রেকর্ড হচ্ছে। এনকেডিএর এক কর্তা জানান, নিউ টাউনে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য এক হাজারের বেশি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আরও ক্যামেরা লাগানো হবে তাড়াতাড়ি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *