দার্জিলিংয়ে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য প্রতি বছরই কয়েক হাজার পর্যটক ভিড় করেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় সান্দাকফুতে। দার্জিলিং জেলার এই পর্বত শিখরে গাড়িতে করে কিছুটা যাওয়া গেলেও আশপাশের সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্য ঘুরে দেখতে হলে ট্রেকিং ছাড়া বিকল্প নেই। পথ হারানো এমনকী পাহাড় পিছলে নীচে পড়ে যাওয়া ঝুঁকি রয়েছে।
সবচেয়ে বড় ঝুঁকি কম অক্সিজেনেও ট্রেকিংয়ে অংশ নেওয়া। তবুও চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা এবং সিঙ্গালিলার সৌন্দর্য উপভোগ করার টানে প্রতি বছর কয়েক হাজার পর্যটক এখানে ভিড় করেন। জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারও ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিং কার্যত সম্পূর্ণ।
তবে জিটিএ আধিকারিকদের অনুমান, কার্শিয়াংয়ের চারটে, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের তিনটে করে নয়া ট্রেকিং রুটও পর্যটকদের নজর কাড়বে। কার্শিয়াং এমনিতেই হোয়াইট অর্কিডের জন্য বিখ্যাত। নয়া চারটে ট্রেকিং রুট এমন ভাবে বাছাই করা হয়েছে যাতে পর্যটকেরা এই সাদা অর্কিড চাক্ষুষ করতে পারেন।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালও এ বার পুজোর মরশুম নিয়ে বেজায় আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। জিটিএ এ বার এদিকে নজর দিয়েছে। ফলে পর্যটকেরা অনেকেই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে আগ্রহী হবেন বলে আমরাও আশাবাদী।’