সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, জলমগ্ন এলাকায় ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা করতে হবে অবিলম্বে। পাঁচ হাজার ত্রিপল ইতিমধ্যেই বিলি করা হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা তৈরির নির্দেশও জেলাশাসকদের দিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রশাসন সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিঁখোজ তিনটি ট্রলার এবং ৪৯ জন মৎস্যজীবীর খোঁজ রবিবার রাত পর্যন্ত মেলেনি। মৎস্যজীবী সংগঠনের তরফে বিষয়টি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহকারী মৎস্য অধিকর্তা (সামু্দ্রিক) সুরজিৎ বাগ ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। যোগাযোগ করা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গেও।
ট্রলারগুলোর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবী সংগঠনের তরফেও নিখোঁজ তিনটি ট্রলারের খোঁজে বেশ কয়েকটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমুদ্র উত্তাল থাকায় তল্লাশি অভিযান চালাতে সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহকারী মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, ‘একটি জাহাজে করে নিখোঁজ তিনটি ট্রলার এবং মৎস্যজীবীদের খোঁজে অভিযানে নেমেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।’
শুক্রবার এবং শনিবার, টানা দু’দিনের বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার কারণে উত্তাল ঢেউয়ে নামখানার নারায়ণগঞ্জের কাছে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধে ধস নেমেছে। নতুন করে ফাটল দেখা গিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বাঁধে। এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জন্য কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোয় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ এর সঙ্গে বেশ কিছু জেলায় বইছে ঝোড়ো হাওয়াও।
শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোপাই, ময়ূরাক্ষী, অজয়ের মতো নদ-নদীও৷ কোপাই নদীতে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অজয় নদের উপর জয়দেবের ফেরিঘাট জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। ফলে, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের যোগাযোগ একদিকে বিচ্ছিন্ন৷ প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হুগলির আরামবাগের বহু এলাকায় চাষের জমি জলের নীচে।
হাওড়ার বেলগাছিয়া, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, বেনারস রোড জলমগ্ন। বেলিলিয়াস রোড ও শিবপুরের বহু রাস্তায় জল জমেছে। যদিও হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘বামুনগাছি ও বেলগাছিয়া ছাড়া শহরের অনেক জায়গায় জল নেমে গিয়েছে। বেলগাছিয়া এলাকায় কেএমডিএ কিছু দিন আগে পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করেছিল। তার পর তারা ঠিক ভাবে রাস্তা মেরামত করেনি৷ ফলে, ওই এলাকায় জল জমে আছে।’