Rain In Hooghly: ডুবেছে মাঠের ধান-সব্জি, রাস্তায় বইছে জলের স্রোত – hooghly people are facing trouble due to continuous heavy rain


এই সময়, গোঘাট: সব্জি খেত ডুবেছে জলে। ধানের জমিও তাই। চাষিরা কোমরসমান জলে নেমে বৃষ্টির মধ্যে ফসল তুলছেন। রাস্তা জলমগ্ন। জল এতটাই জমেছে যে অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। রবিবার এমন চিত্রই দেখা গেল হুগলির গোঘাটে।নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জেরে গোঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমেছে। বিঘের পর বিঘে চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি ও বাঁকুড়ার দিক থেকে আসা খালের জলে গোঘাটের পশ্চিমপাড়া, শ্যামবাজার ও কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গোঘাটের শ্যামবাজারের বেশ কিছু মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিমপাড়ায় ধান ছাড়াও বেগুন, পটল-সহ বিভিন্ন সব্জি জলের তলায় চলে গিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে চাষিরা কোমরসমান জলে দাঁড়িয়ে ওই সব্জি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পশ্চিমপাড়ার গোপালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল বলেন, ‘মাসখানেক আগেও বৃষ্টি হয়েছিল। তখনও ব্যাপক ধানের ক্ষতি হয়েছিল। দু’বার ধান রোপণ করতে হয়। এই বৃষ্টিতে আমন ধান ছাড়া সব ধান চাষেরই ক্ষতি হবে। ক্ষতি হবে সব্জিরও। জলে ডুবে সব্জিগুলো পচে যাবে।’

টানা বৃষ্টিতে ফের জলমগ্ন ঘাটাল, চন্দ্রকোনার বহু এলাকা
রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ স্কুলের ছাত্রীদের হস্টেলে জল ঢুকেছে। রবিবার সকাল থেকে কামারপুকুর-জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর-বদনগঞ্জ রোডে যান চলাচল বন্ধ। ওই দুই রাস্তার মাঝে সাতবেড়িয়া ও হলদি এলাকায় রাস্তার উপর দিয়ে তীব্র গতিতে জলের স্রোত বইছে। হলদি এলাকায় সেতুর উপরেই জল উপচে পড়ছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে, দ্বারকেশ্বর, দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর বাঁধগুলি পরিদর্শন করা হচ্ছে। বাঁধের ধারে বালির বস্তা মজুত রাখা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসন তৈরি বলে জানিয়েছে। আশঙ্কা, টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হতে পারে খানাকুল, পুরশুড়া, আরামবাগের বহু গ্রামীণ এলাকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *