বয়স ৮০ পেরিয়েছে। মুখে বলিরেখা স্পষ্ট। দুর্বল হয়েছে পেশী শক্তি। তবে, মনের জোর? এক বিন্দুও কমেনি। মুখে হাসি নিয়ে এখনও দু’পয়সা রোজগারের আশায় নিয়মিত হাজির হন ফুলিয়া স্টেশনে। বাদাম বিক্রি করেন ঠাকুমা। মচমচে বাদামের স্বাদ উপরি, ঠাকুমার কাছ থেকে পেয়ে যাবেন জীবন সংগ্রামের অমূল্য শিক্ষা।নদিয়ার ফুলিয়া স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের ধারে ঢুকতেই প্রায় প্রতিদিন বিকেলে দেখা যায় তাঁকে। এক চিলতে পলিথিনের উপর একটি দাঁড়িপাল্লা আর এক ব্যাগ বাদাম নিয়ে তিনি অপেক্ষায়। তিনি পূরবী সরকার। স্টেশনের এক বাদাম বিক্রেতা। জীবন সায়াহ্নে এসে আজও কঠিন জীবন সংগ্রামে অভ্যস্ত তিনি। সদা হাসিমুখে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। চলতি পথে অনেকেই ঠাকুমার কাছ থেকে বাদাম কেনেন। খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও অনেকেই এক ঠোঙা বাদাম কিনে নেন। ঠাকুমাকে সাহায্য করার বাসনায়।
স্বামীকে হারানোর পর এক ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। শান্তিপুরের ফুলিয়া প্রফুল্ল নগরে একচালা ঘরে থাকেন পূরবী দেবী। টিনের চালের ঘরের জরাজীর্ণ অবস্থা। অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা করা হয়নি। বাদাম বিক্রি করতে গিয়ে অনেক সময়ই হিসাব গুলিয়ে ফেলেন। সাহায্য নেন ক্রেতাদেরই। তবে, ওই যে মনের জোর প্রবল। সেখানে তাঁকে হারায় কার সাধ্যি! ছেলে সামান্য কাজ করেন। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। সংসার স্বচ্ছল রাখার তাগিদে রোজই বাদাম বিক্রি তাঁর পেশা।
স্বামীকে হারানোর পর এক ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। শান্তিপুরের ফুলিয়া প্রফুল্ল নগরে একচালা ঘরে থাকেন পূরবী দেবী। টিনের চালের ঘরের জরাজীর্ণ অবস্থা। অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা করা হয়নি। বাদাম বিক্রি করতে গিয়ে অনেক সময়ই হিসাব গুলিয়ে ফেলেন। সাহায্য নেন ক্রেতাদেরই। তবে, ওই যে মনের জোর প্রবল। সেখানে তাঁকে হারায় কার সাধ্যি! ছেলে সামান্য কাজ করেন। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। সংসার স্বচ্ছল রাখার তাগিদে রোজই বাদাম বিক্রি তাঁর পেশা।
পূরবী দেবী বলেন, ‘প্রতিদিন নিজে হাতে বাদাম ভেজে বিক্রি করি। বর্ষার সময় বিক্রি একটু কম হয়। শীতকালে বিক্রি বাড়ে। বাদাম বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলে।’ পূরবী দেবী বলেন, বাড়িতে একা বসে থেকে কী করব? যে কয়দিন শক্তি থাকবে, কিছু উপার্জন করব। তবে, সমাজমাধ্যমে কিছু জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, পূরবী দেবী নাকি বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের টিউশন পড়ান। যদিও, তাঁর কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনি নিজেই সেভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি। অন্যজনকে পড়ানোর সামর্থ্য তাঁর নেই। বাদাম বিক্রি করেই সংসার চালান তিনি। আর ভরসা তাঁর ছেলের সামান্য আয়।