হুগলির খানাকুলের কিশোরপুরে ২টি ও বন্দর এলাকায় ২ টি নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামে প্রবল গতিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আরামবাগের মলয়পুরে ও পুরশুড়ার কাদিপুরে মুন্ডেশ্বরীর বাঁধ ভেঙে প্লাবন ছড়িয়েছে গ্রামের পর গ্রামে। একতলা বাড়ির সমান জলে হাবুডুবু খাচ্ছে খানাকুল। ক্রমশই বাড়ছে জলস্তর। দামোদরের জলে প্লাবিত তারকেশ্বরের একাধিক গ্রাম। জলের তলায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি।
মঙ্গলবার ডিভিসি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলত, হাওড়ার নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর এবং আমতায় দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। উদয়নারায়ণপুরে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে বুধবার ভোর থেকে জল বাঁধ টপকে ঢুকতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, হুগলির আরামবাগ, গোঘাট, পুরশুড়ার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। রূপনারায়ণ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দিক থেকে শিলাবতী নদীর জল ও আরামবাগের দিক থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর মিলিত জলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। এদিকে, বুধবার সকালে মাইথন ও পাঞ্চেত— দুই জলাধার থেকেই জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হলেও পাঞ্চেত থেকে কয়েক হাজার কিউসেক জল বেশি ছাড়া হয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।