Sagar Dutta Medical College: ডিউটিতেই ‘অসুস্থ’ চিকিৎসক, মৃত রোগী – patient lost life due to medical negligence at sagar dutta medical college


এই সময়, কামারহাটি: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে ওঠে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মৃতের পরিবার-পরিজন এ দিন বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালে। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসক মদ্যপ ছিলেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কর্তৃপক্ষের কথায়, ওই চিকিৎসক আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি মদ খেয়ে ডিউটি করছিলেন না। আপাতত তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।মৃত প্রশান্ত কুমার সাউয়ের (৪৯) বাড়ি টিটাগড় তালপুকুর এম্পায়ার জুটমিলের ১ নম্বর লাইনে। প্রশান্তর ডায়াবেটিস ছিল। হৃদরোগেরও সমস্যা ছিল। সোমবার পরিবারের লোকজন তাঁকে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করেন। গভীর রাতে কাঁপুনি শুরু হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার সকালেই প্রশান্তকে স্থানান্তরিত করা হয় কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে।

ছেলে রোহিত কুমার সাউ বলেন, ‘বাবাকে আনার সঙ্গে সঙ্গে মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইসিজি হয়। তারপর আর কোনও ট্রিটমেন্ট না করেই বাবাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। আমরা বারংবার ডাক্তারকে ট্রিটমেন্ট শুরুর কথা বললেও, উনি আমাদের বসিয়ে রাখেন। ইসিজি রিপোর্ট তিনি পড়তেই পারছিলেন না। হাসপাতালের কাগজে রোগের বৃত্তান্তও লিখতে পারছিলেন না। সম্ভবত মদ খেয়েছিলেন।’

এরপর প্রশান্ত কুমার সাউ মারা গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। হাসপাতালের আউটপোস্টের পুলিশ এসে মৃতের আত্মীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশ সুপারের ঘরের পাশের কনফারেন্স রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতের পরিবারের লোকজনকেও সেখানে ডেকে পাঠানো হয়। চিকিৎসক এবং মৃতের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সুপার।

‘সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির জেরে পরিষেবায় ত্রুটি হয়নি’, দাবি মৃতের পরিবারের
উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসককে ডিটেলমেন্ট অর্ডার করে অন্য হাসপাতাল থেকে সাগর দত্তে পাঠানো হচ্ছে। এ ভাবেই উত্তম কানারি এসেছিলেন নৈহাটি হাসপাতাল থেকে। এক মাস ধরে সাগর দত্তে তিনি রোগী দেখেছেন। সোমবার তাঁর নাইট ডিউটি ছিল। সেই মতো তিনি ডিউটিতেই ছিলেন। মঙ্গলবারের সকালের রোগী তাঁর কাছেই এসেছিল।

হাসপাতাল সুপার সুজয় মিস্ত্রি বলেন, ‘যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নিজেই ডিউটিতে অসুস্থ (নার্ভাস ব্রেক ডাউন) হয়ে পড়েন। ফলে না তিনি কোনও কথা বলতে পারছিলেন, না কিছু লিখতে পারছিলেন। চিকিৎসক মদ্যপ ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। মৃতের পরিবারের লোকও সেটা বুঝেছেন। এরপরেও তাঁরা যদি কোনও লিখিত অভিযোগ করতে চান, অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে।’

ওই চিকিৎসককে আপাতত ছুটিতে পাঠিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিন দিন পরে ফের ডিউটিতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সুপারের কথায়, ‘ডাক্তারবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগেও একবার নার্ভের সমস্যা হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি নিয়মিত ওষুধ খান।’ রাত পর্যন্ত মৃত রোগীর পরিবার কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *