এ বারের আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গত সপ্তাহে উপাচার্য-সহ কর্তৃপক্ষকে টিএমসিপি ঘেরাও করে রাখার পর কয়েক জন অধ্যাপক কার্যত তৃণমূলপন্থীদের দাবি কার্যকরী করতে মরিয়া হয়েছেন। তাঁরা যাতে এ ভাবে বেআইনি দাবিকে বৈধতা না দেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করতেই ঘেরাও।
আজ, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক রয়েছে। কয়েক জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জমা পড়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিতে কোনও রকম প্রভাব খাটানো থেকে বিরত থাকতেও ওই অধ্যাপকদের কাছে দাবি জানিয়েছেন রমন হস্টেলের আবাসিকরা। প্রতিষ্ঠানের ডিন শঙ্কর আচার্য বলেন, ‘রমন হস্টেলের ছেলেরা কিছু দাবি নিয়ে এসেছিলেন।
অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক যাতে নিরপেক্ষ ভাবে হতে পারে, তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।’ তাঁর বিরুদ্ধে টিএমসিপি-র পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিন বলেন, ‘কেউ ওঁদের ভুল বোঝাচ্ছে। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালু করতে শিক্ষক হিসেবে যেটুকু করণীয়, সেই চেষ্টা করেছি।’ যদিও এত কিছুর পরেও কবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেলে রেখে ফিজিক্যালি পঠনপাঠন শুরু করা হবে, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।