বাম নেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। ৫০০ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেন। সেই অডিয়ো ক্লিপে (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) দুই ব্যক্তির কথোপকথনে উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় থাকা আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সেই অডিয়ো ক্লিপের ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এই মামলায় সঞ্জীব দাস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, সঞ্জীব দাসের গ্রেপ্তারের পর FIR-এ জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা নেই কেন? অথচ কলতানের ক্ষেত্রে সেই ধারা রয়েছে। যদিও সঞ্জীব ফোন করেছিল কালতানকে। ফলে এখানে যে ফোন করেছে, তার অপরাধ কম কী করে হয়? প্রশ্ন ওঠে আদালতে।
এই মামলায় সঞ্জীব দাস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, সঞ্জীব দাসের গ্রেপ্তারের পর FIR-এ জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা নেই কেন? অথচ কলতানের ক্ষেত্রে সেই ধারা রয়েছে। যদিও সঞ্জীব ফোন করেছিল কালতানকে। ফলে এখানে যে ফোন করেছে, তার অপরাধ কম কী করে হয়? প্রশ্ন ওঠে আদালতে।
এই ফোন সূত্র জানার পর পুলিশ ডাক্তারদের নিরাপত্তায় কী করেছে? জানতে চান বিচারপতি। জবাবে রাজ্য জানায়, সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আমরা কী পরিমাণ পুলিশ সেখানে বেড়িয়েছি, কোর্ট চাইলে তার হিসেব দিতে পারবো। আদালতে এদিন রাজ্য জানায় অর্জুন সঞ্জীব, কলতান কৃষ্ণের রোল প্লে করেছে। সাহেব, বাপ্পা দা, দাদু’র নাম এসেছে ওই রেকর্ডে। এরা কারা? এদেরকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি জানতে চাওয়া হয়। রেকর্ডিং পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যেও বলা হয়। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে এদিন হাইকোর্ট কলতানকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে।