এর জন্যে সন্দীপকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অক্ষয়কুমার সারেঙ্গী নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু একাধিক কারণে সেই মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আরজি কর হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য (বায়ো-মেডিক্যাল ওয়েস্ট) পাচারের অভিযোগ তুলে একই বেঞ্চে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন একই আবেদনকারী। সেটিও খারিজ হয়ে যায়।
মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত বলেন, ‘কোর্ট কেন আমাদের আবেদন গ্রহণ করেনি, সেটা আমার পক্ষে বলা কঠিন। তবে আমরা যে কারণে মামলা করেছিলাম, সেটা যে সঠিক ছিল তা এখন স্পষ্ট। বায়ো-মেডিক্যাল ওয়েস্ট সংক্রান্ত মামলায় আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, শুধু আরজি কর নিয়ে কেন মামলা করা হলো। আমরা আবেদন করেছিলাম, কোনও স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা অথবা অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতিকে দিয়ে অভিযোগের তদন্ত করানো হোক। কিন্তু সেটা কোর্ট যুক্তিযুক্ত মনে করেনি।’
সেই মামলায় সরকারপক্ষের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তর যুক্তি, ‘জনস্বার্থ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অপসারণের আবেদন করা হয়েছিল, যা জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। হয়তো সে জন্যেই মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।’
দেহ পাচার সংক্রান্ত মামলায় আবেদনকারীর পক্ষের অন্যতম আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, ‘যখন দেহ পাচার সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়েছিল তখন টেকনিক্যাল কারণে তা প্রত্যাহার করতে হয়। তবে আমার মনে হয়, দুর্নীতির অভিযোগ যদি সেই সময়ে গুরুত্ব পেত তা হলে হয়তো আজকের পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’