
গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কাউন্সিলের চিঠিতে আরজি কর কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে তিন দিনের মধ্যে তাঁর জবাব চাওয়া হয়। কিন্তু সেই চিঠির জবাব আসেনি। এর মাঝেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের একের পর এক সদস্য পদত্যাগ করেন।
মঙ্গলবারই চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ না দেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হোক বলে জানানো হয় আইএমএ-র চিঠিতে।
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এর মাঝেই আরজি কর কাণ্ডের মূল তদন্তে প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেও সন্দীপকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছিল, নিয়ম অনুযায়ী শো-কজ না করে কারও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই আগে তাঁকে শো-কজ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।