এই ভুল সংশোধন করা হলে এঁরা প্যানেলের বাইরে চলে যাবেন। তাড়াহুড়ো করলে ২০১৬ সালের অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ভবিষ্যতে বিপাকে পড়তে হতে পারে বলে কমিশনের আশঙ্কা। যদিও কমিশনের তরফে প্যানেল প্রস্তুত এবং একদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা সম্ভব বলে খবর।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য, ‘ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি যে হলফনামা দিয়েছিল, তাতেই ৯৫ জন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জাতিগত শংসাপত্রে গরমিল আছে বলে জানায়। আদালতের রায় অনুযায়ী এঁদের বাদ দিয়ে কমিশন চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘কমিশন ও স্কুলশিক্ষা দপ্তর যদি ২৮ অগস্টের রায়ে সংশোধনী জরুরি বলে মনে করে, তা হলে তা নিয়ে তিন সপ্তাহ পরে আলোচনা কেন? আদালত তো চার সপ্তাহ বা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল!’ সেই সময় শেষ হতে আর বেশি বাকি নেই।
শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ-অর্ডারেই কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। তা সংশোধনে রিভিউ পিটিশন করা হবে, নাকি ডিভিশন বেঞ্চে ক্ল্যারিফিকেশন চাওয়া হবে, সে ব্যাপারেই এ দিনের বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে। এ দিকে, হাইকোর্টের ২৮ অগস্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ও সংরক্ষণ নীতির বিরোধী বলে একদল চাকরিপ্রার্থী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। এসএসসি আবার ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে।