তখনই তিনি বলেন, ‘তিনদিন বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল করে দেওয়ার জন্য ডিজিকে বলছি।’ এরপর বিকেলে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলটির ডুবুরডিহি চেকপোস্টে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করে দেয়। তার জেরে পণ্যবাহী গাড়ি বাংলায় ঢুকতে পারছে না। বিপাকে পড়েছেন ভিন রাজ্যের ট্রাক চালকেরা।
সীমানা সিল হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডিহি চেক পোস্টে পৌঁছন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তিনি চেক পোস্টে কর্মরত পুলিশকর্মীদের কাছে সীমানা সিল করার কারণ জানতে চান। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের সঙ্গেও কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক।
তিনি পুলিশের কাছে সীমানা সিলের লিখিত নির্দেশ দেখতে চান। কিন্তু সেখানে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা সেই নির্দেশের কপি দেখাতে না পারায় বিধায়ক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বিধায়ক গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে গাড়ি চালকদের চেকপোস্ট পেরিয়ে যেতে বলেন। পুলিশ চালকদের বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন অজয় পবোদ্দার।
বিধায়ক অজয় পোদ্দার বলেন, ‘আমি পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় সীমানা খুলে দেওয়া হবে।’ বিধায়ক জানান, যে সব ট্রাক আটকে রয়েছে সেগুলিকে বাংলায় ঢুকতে দেওয়ার জন্য পুলিশকে তিনি অনুরোধ করেছেন।
একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সন্ধ্যার মধ্যে সীমানা খুলে না দেওয়া হলে ফের তিনি ডুবুরডিহি চেকপোস্ট এলাকায় যাবেন ও প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করবেন। বিধায়ক এও জানিয়েছেন, কোনও রাজ্য সরকার খেয়ালখুশি মতো জাতীয় সড়ক সিল করতে পারে না।