শুক্রবার বিকেল ৩টেয় সময় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা সুবিচার-সহ একগুচ্ছ দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। এরপর এক মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। টানা ১০ দিন সেই কর্মসূচি চলে।শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, ‘আর কত দিন সময় চাই? জবাব দাও সিবিআই’। চিকিৎসকদের এই মিছিলে পা মেলান সাধারণ মানুষও।
আন্দোলনরত এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের কোনও রাজনৈতিক দাবি নেই। রাজ্যের যেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আমরা যাব, সাধারণ মানুষের সেবা করব। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য।’
আন্দোলনরত এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের কোনও রাজনৈতিক দাবি নেই। রাজ্যের যেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আমরা যাব, সাধারণ মানুষের সেবা করব। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য।’
বৃহস্পতিবারই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফ জেনারেল বডি-র বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে ইমার্জেন্সি এবং অন্য পরিষেবায় যোগ দেবেন তাঁরা। তবে আউটডোর এবং নন-ইমার্জেন্সিতে এখনই ফিরছেন না তাঁরা। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যেমন ধর্না চলছে তেমন চলবেই বলে জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, শুক্রবারই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি বিরাট মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বহু শিল্পী। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবিতে এ দিন মিছিল করা হয়।