কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘গভীর রাতে আচমকাই সমুদ্রে টর্নেডো সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার জেরে এফবি বাবা গোবিন্দ নামে ট্রলারটি মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ পাল্টি খেয়ে যায়। আশেপাশের ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরা ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। তাঁরা গিয়ে ৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছেন। এখনও ৯ জন মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি।’ মৎস্যজীবীদের আশঙ্কা, বাকিরা ওই ট্রলারের ভেতরে আটকে পড়েছেন।
ট্রলারটিকে সোজা করা হয়েছে। কিন্তু চারিদিকে জাল থাকার কারণে ট্রলারের ভেতরে তল্লাশি করা যাচ্ছে না। বর্তমান ট্রলারটিকে উপকূলের দিকে টেনে আনা হচ্ছে। নিখোঁজ এক মৎস্যজীবীরা প্রতিবেশী বলেন, ‘আমাদের এলাকার কানাই দাস নামে একজন ওই ট্রলারে ছিলেন। আজ ভোরবেলা আমাদের কাছে ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর এসেছে। উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, প্রতিকূল আবহাওয়ায় মাঝেমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি বা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের খবর পাওয়ার পর ফিরে আসার সময় তিনটি ট্রলার নিখোঁজ হয়ে যায়। তিনটি ট্রলারে ছিলেন মোট ৪৯ জন মৎস্যজীবী। এফবি শ্রীহরি ট্রলারের ১৯ জন ও এফবি মা রিয়া ট্রলারের ১৪ জন মৎস্যজীবী ও কাকদ্বীপের এফবি বাবা নীলকন্ঠ ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হন। ১৭ অগস্ট সকালের মধ্যে সকলকেই উদ্ধার করা যায়। ।