Ganga Erosion,কলকাতায় কতটা সুরক্ষিত গঙ্গার পাড়, জানতে সমীক্ষা করবে রাজ্য – west bengal government conducted a survey to find out how safe banks of ganga are in kolkata


দামোদরের মতো নদীর পাড় ভেঙে গঙ্গার জল কলকাতা শহরে ঢুকে পড়বে না তো? কলকাতা এবং তার আশপাশের শহরাঞ্চলে যে ভাবে গঙ্গার পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বিপদের গন্ধ পাচ্ছে নবান্ন। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি শিল্পাঞ্চলে গঙ্গার পাড় ভাঙার কারণ খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করাবে রাজ্য সরকার। সেই মতো গঙ্গার পাড় রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।নবান্ন সূত্রে খবর, হুগলির ত্রিবেণী থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি পর্যন্ত প্রায় ১১৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হুগলি নদীর পাড়ে ভাঙনের কারণ জানতে বিশদে সমীক্ষা হবে। গঙ্গার পাড় ভেঙে যে সব জায়গায় ভবিষ্যতে বন্যা হতে পারে, সেই এলাকাগুলি শনাক্ত করা হবে।

Ganga

হুগলি নদীর পাশাপাশি তার সংযোগকারী বিভিন্ন নদ-নদী ও খালের অবস্থাও সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে। এই সব এলাকায় সারা বছর আবহাওয়া কেমন থাকে, তার উপরও স্টাডি করা হবে। পাশাপাশি বিশ্লেষণ করা হবে গত ২৫ বছরের আবহাওয়ার রিপোর্টও। বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকায় এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে—এমনটাই জানাচ্ছেন নবান্নের কর্তারা।

রাজ্য সেচ দপ্তরের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, ‘বিশ্ব উষ্ণায়নে ক্রমশ গঙ্গার জলস্ফীতি ঘটছে। ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। কলকাতার আশপাশে গঙ্গার পাড় গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক নিয়মে। গঙ্গার পলিমাটি জমে তৈরি হয়েছে বাঁধ। সেই বাঁধ ততটা শক্তপোক্ত নয়। তাই ভাঙনের আশঙ্কা বেশি। যে হেতু এই অংশে প্রতিদিন জোয়ার, ভাটা হয়, তাই রোজ পাড় ভাঙছে। হঠাৎ করে যদি কোনও দিন গঙ্গায় জলস্ফীতি হয়, তা হলে পাড় ভেঙে কলকাতা শহরে জল ঢুকে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

বানভাসি দক্ষিণবঙ্গ, ত্রাণ শিবিরে বাড়ছে ভিড়
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই হুগলি নদীর পাড়ে ভাঙন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বড়বাজারের পোস্তার কাছে পাড় ভেঙে হুগলি নদী স্থলভাগের দিকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। নদীর পাড়েই রয়েছে অসংখ্য গোডাউন।

ভাঙন ঠেকাতে না পারলে সেগুলো নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। শিবপুর বোটানিক গার্ডেনের বেশ কিছুটা অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সেখানে নদীর পাড় মেরামতির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। হাওড়ার গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের কাছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হুগলি নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই পাড় মেরামতে সেচ দপ্তরকে কয়েক কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। হুগলির বলাগড়ের কাছেও নদী ভাঙনে বেশ কিছু এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *