আরজি করের ঘটনার পর সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা আরও জোরাল করার দাবি উঠেছিল। দীর্ঘদিন আন্দোলন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও। কিন্তু এরই মধ্যে আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল রোগীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকার সমস্যা নিয়ে সেখানে ভর্তি হন মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার বদনাপুরের বাসিন্দা আসগার আলি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আত্মীয় আরিফ আলিও। একটি চেয়ারে বসাকে কেন্দ্রে করে মূলত আরিফ আলির সঙ্গে পুরুষ নার্সের বচসা বাধে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এক মহিলা নার্সও এগিয়ে আসেন। অভিযোগ, এরপরেই কুকথার বন্যা বইয়ে দেন আরিফ। এমনকী, তাঁদের ‘চাকরি খাওয়ার’ হুমকিও দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, ‘আরজি কর বানিয়ে দেবো’, এই হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কর্তব্যরত সিস্টার ইনচার্জ বলেন, ‘পৌনে সাতটার দিকে মেল ওয়ার্ডে চিৎকার শুনতে পাই। এসে দেখি একজন রোগীর আত্মীয় কর্তব্যরত ব্রাদারকে বলছেন, আমি ২ মিনিটে তোমার চাকরি খেয়ে নেবো, ১০ মিনিটে তোমাকে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেবো। আমি শান্ত করার চেষ্টা করলে আমাকেও কুকথা বলা হয়। আমার এক সহকর্মী নার্সও ওই রোগীর আত্মীয়কে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখন তাঁর জাত তুলে অপমান করেন ওই ব্যক্তি।’
কর্তব্যরত সিস্টার ইনচার্জ বলেন, ‘পৌনে সাতটার দিকে মেল ওয়ার্ডে চিৎকার শুনতে পাই। এসে দেখি একজন রোগীর আত্মীয় কর্তব্যরত ব্রাদারকে বলছেন, আমি ২ মিনিটে তোমার চাকরি খেয়ে নেবো, ১০ মিনিটে তোমাকে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেবো। আমি শান্ত করার চেষ্টা করলে আমাকেও কুকথা বলা হয়। আমার এক সহকর্মী নার্সও ওই রোগীর আত্মীয়কে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখন তাঁর জাত তুলে অপমান করেন ওই ব্যক্তি।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমাদের বলা হয়, যখন আরজি কর বানিয়ে দেবো তখন বুঝতে পারবি।’ ওই রোগীর আত্মীয়কে শান্ত করা সম্ভব না হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা গোটা বিষয়টিই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্ক তদন্ত করা হবে। হাসপাতালের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে।
হাসপাতালের কর্মীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা এই গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত। দোষীর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও আরিফ দাবি করেছেন, তিনি হাসপাতালের কোনও কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি। আরজি কর সংক্রান্ত কোনও হুমকি দেননি বলেও সংবাদ মাধ্যমে দাবি তাঁর।