Flood In Ghatal: মন্ত্রী, সাংসদের হাত থেকে ত্রাণ নিতে কাড়াকাড়ি ঘাটালে – ghatal people are rushing to get relief from ministers and mps


এই সময়, ঘাটাল: মন্ত্রী, সাংসদের হাত থেকে আগে কে ত্রাণের প্যাকেট নেবেন? প্রবল হুড়োহুড়ি-কাড়াকাড়ির মধ্যে কয়েকজনের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিয়ে নৌকো নিয়ে ফিরে এলেন মন্ত্রী জাভেদ খান, সাংসদ দেব-সহ অন্যান্যরা। তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ায় ক্ষোভ ছডি়য়ে পড়ে মেদিনীপুরের ঘাটালের অজবনগর এলাকায়।প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ত্রাণ আসছে না? স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ ও পানীয় জল প্লাবিত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, ‘শুধু ঘাটাল ব্লকে ২৮ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত। একই পরিবারের একাধিক জন এসে ভিড় করছেন। মানুষের চাওয়া পাওয়ার কি শেষ আছে?’

সাত দিন আগে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে এসেছিলেন দেব। রবিবারও দেখলেন একই অবস্থা। জল নামেনি। এ দিন চাল, ডাল, আলু, তেল, সোয়াবিন, চিনি, চা পাতা, বিস্কুট ইত্যাদি একটি প্যাকেটে ভরে দুর্গতদের হাতে দেন তিনি। একজন একজন করে দেওয়ার সময়ে এগিয়ে আসছে অজস্র হাত। ভিড়-চিৎকার-ঠেলাঠেলির মাঝে সকলকে না দিয়েই বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয় দেবকে। ফলে ক্ষুব্ধ হন অনেকে।

দেব বলেন, ‘যাঁরা জলবন্দি হয়ে আছেন, তাঁদের ক্ষোভ তো থাকবেই। মানুষের দাবি বা ক্ষোভ অনর্থক নয়।’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরী বলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার মুখ্যসচিব নিজে গাহটালে গিয়েছেন। আমাদের কাছে বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ডিভিসির জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়া নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তৈরি হয়েছে। দেব বলেন, ‘এখন কেন্দ্র-রাজ্য ঝামেলা করার সময় নয়। সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সেই সময়ের পরিকল্পনার সঙ্গে বর্তমান ঘাটালের পরিস্থিতির অনেক তফাৎ রয়েছে। ওটা তিন মাসের কাজ নয়। সময় লাগবে। আমি রাজনীতিতে ফের এসেছি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্যই। দিদি কথা দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, তা বাস্তবায়িত হবে।’

অজবনগরের স্থানীয় বাসিন্দা বেলারানি ছাতিক, পদ্ম দোলই বলেন, ‘একদিনও আমাদের কাছে ত্রাণ আসেনি। আজ কিছু পাব ভেবে এসেছিলাম। পেলাম না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *