Flood In West Bengal: ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ৩ মাসে হয় না’, বন্যা মোকাবিলা নিয়ে কী জানালেন দেব? – dev tmc mp visited flood affected area at ghatal


জলের তলায় ঘাটাল-সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হয়ে গেলেও এত পরিমাণ জল আটকানো যেত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ দেব। রবিবার ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে দুর্গত মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াটাই বর্তমানে প্রধান লক্ষ্য বলে জানান অভিনেতা সাংসদ।দেব বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলেও এই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেত কি না, সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মেদিনীপুর ছাড়াও একাধিক জেলা যেমন হুগলি, ২৪ পরগনা জলের তলায় চলে গিয়েছে। মোট পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানেও এত পরিমাণ জল ধরে রাখার ক্ষমতা সম্ভব হতো না বলে মনে হয়।’ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। দেব বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ৩ মাসে করা সম্ভব নয়। এটা করতে পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগবে।’ তাঁর দাবি, ২০১১ সালে যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তাতে দুটো নদীকে সংযুক্ত করা, নদী ড্রেজিং করে তার জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করতে হবে। ৪-৬ কিমি নতুন নদীপথ তৈরি করতে হবে। সেখানে অনেকের জমি-বাড়ি রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার কাজ শুরু হচ্ছে। এত বড় প্রজেক্ট করতে অনেকটাই সময় লাগবে বলেও জানান সাংসদ।

রবিবারই ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন সাংসদ দেব, মন্ত্রী জাভেদ খান-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ঘুরে দেখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হাতে ত্রাণও তুলে দেন তাঁরা। রবিবারেই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে।

Mamata Banerjee: দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার

বৈঠকে থাকতে পারেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, প্রশাসনিক আধিকারিক-সহ দেব, জাভেদ খান। ঘাটাল, পাঁশকুড়া-সহ একাধিক বন্যা কবলিত এলাকা নিয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি রয়েছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কায় বন্যা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

Flood In Ghatal: ডুবেছে শ্মশান, দাহ করার ডাঙা খুঁজছেন পরিজন
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এখনও জলের তলায়। এছাড়াও ঘাটাল পুরসভার ১৩ টি ওয়ার্ড এখনও প্লাবিত। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল ব্লকের প্রাইমারি স্কুল মোট ২৩০টি। তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ১৫১টি। হাইস্কুল মোট ৫৬টি, তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ২১টি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মোট ৩৩৯টি, তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ২১৫টি। স্বাস্থ্য কেন্দ্র মোট ৪৫টি, তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ১৪টি। এছাড়াও ঘাটাল পুর এলাকার ১৩ টি ওয়ার্ডের সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয়, আই সি ডি এস সেন্টার, হেল্প সেন্টার ডুবে রয়েছে জলে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এলাকায় এলাকায় চলছে স্বাস্থ্য শিবির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *