রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় অপূর্ব বিশ্বাসকে। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যে তিনজন ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছিলেন তাঁদেরকেই আজ সিবিআই ডেকে পাঠায়। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। সিবিআই দপ্তর থেকে বেরোনোর সময়ই এই বিস্ফোরক দাবি করেন ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস।
আরজি করের ঘটনায় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ আরও এক চিকিৎসক সৌরভ পালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। টানা কয়েক ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে সিবিআইয়ের পুলিশ লেখা বাইকে করে সৌরভ পালকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বাইরে বার করা হয়।
আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টেও। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সেই চালান কোথায়? সেই প্রশ্নের মুখে রাজ্যের তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, কেস ডায়েরির সঙ্গেই সেই চালানটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। তবে সিবিআই-এর তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, সেই চালান তাদের কাছে নেই।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ওই চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। তাঁর যৌনাঙ্গে যে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল তারও উল্লেখ করা হয়। চিকিৎসকের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।