এ জন্য ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে জোর তৎপরতায় কাজ হচ্ছে তিনটি ব্লকে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘আমাদের ব্লকে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেক জায়াগাতেই পরীক্ষামূলক ভাবে পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে।’
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর বেওতা ১ ও শানপুকুর পঞ্চায়েত এলাকায় ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য জমি পেতে সমস্যা হয়েছিল। এখন সেই সমস্যা কাটিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। এ জন্য ৯১৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়।
ইতিমধ্যে ৮৬৬ কিলোমিটার এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে হাড়োয়া ও রাজারহাট ব্লকে পাইপলাইন বসানোর কাজ একশো শতাংশ শেষ হয়েছে। ভাঙড় ২ ব্লকে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় ১৮ টি ওভারহেড ট্যাঙ্কের মধ্যে ১৬ টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। দু’টি ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে।
এই কাজ শেষ হলে ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৫২ হাজার পরিবার অর্থাৎ ৩ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এর মধ্যে ১৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩০৮টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ২৫ টি সরকারি অফিস, ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে জল পাবে। এই জলপ্রকল্পে প্রতিটি পরিবার মাথা পিছু ৭০ লিটার করে জল পাবেন।
প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়তকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহের জন্য একটি করে কাস্টমার কেয়ার সেন্টার তৈরির জন্য। বাড়িতে ট্যাপ কল বসাতে সাধারণ মানুষকে ওই কাস্টমার সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।
ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় মাঝেমধ্যে কাজের গতি কমে গেলেও কখনও কাজ থমকে থাকেনি। এখন যে গতিতে কাজ চলছে তাতে আশা করা যায় আগামী মার্চে ভাঙড়ের প্রতিটি বাসিন্দা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন।’