Drinking Water Supply,শহর লাগোয়া ৩ ব্লকের জন্য এ বার প্ররিস্রুত পানীয় জল – bhangar rajarhat and haroa blocks will get arsenic free drinking water in new year


আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। নতুন বছরেই আর্সেনিক মুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল পাবে ভাঙড়, রাজারহাট ও হাড়োয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। নলবাহিত এই পরিস্রুত জল পাবেন তিনটি ব্লকের ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আট লক্ষাধিক বাসিন্দা। কলকাতা কিংবা বিধাননগর পুরনিগমের বাসিন্দারা যে গুণগত মানের জল পান, এ বার তাই পাবেন গ্রামের মানুষজনও।উল্লেখ্য, নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১-এ হিডকোর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আছে। সেখান থেকেই ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ হবে এই তিন ব্লকে। এ জন্য বাগবাজার থেকে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা, কেষ্টপুর, যাত্রাগাছি হয়ে বাগজোলা খাল বরাবর পাইপ বসিয়েছে হিডকো। জানা গিয়েছে সেই পাইপে অতিরিক্ত জল সরবরাহ করা হবে ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

এ জন্য ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে জোর তৎপরতায় কাজ হচ্ছে তিনটি ব্লকে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘আমাদের ব্লকে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেক জায়াগাতেই পরীক্ষামূলক ভাবে পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে।’

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর বেওতা ১ ও শানপুকুর পঞ্চায়েত এলাকায় ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য জমি পেতে সমস্যা হয়েছিল। এখন সেই সমস্যা কাটিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। এ জন্য ৯১৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়।

ইতিমধ্যে ৮৬৬ কিলোমিটার এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে হাড়োয়া ও রাজারহাট ব্লকে পাইপলাইন বসানোর কাজ একশো শতাংশ শেষ হয়েছে। ভাঙড় ২ ব্লকে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় ১৮ টি ওভারহেড ট্যাঙ্কের মধ্যে ১৬ টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। দু’টি ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে।

এই কাজ শেষ হলে ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৫২ হাজার পরিবার অর্থাৎ ৩ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এর মধ্যে ১৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩০৮টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ২৫ টি সরকারি অফিস, ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে জল পাবে। এই জলপ্রকল্পে প্রতিটি পরিবার মাথা পিছু ৭০ লিটার করে জল পাবেন।

প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়তকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহের জন্য একটি করে কাস্টমার কেয়ার সেন্টার তৈরির জন্য। বাড়িতে ট্যাপ কল বসাতে সাধারণ মানুষকে ওই কাস্টমার সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।

ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় মাঝেমধ্যে কাজের গতি কমে গেলেও কখনও কাজ থমকে থাকেনি। এখন যে গতিতে কাজ চলছে তাতে আশা করা যায় আগামী মার্চে ভাঙড়ের প্রতিটি বাসিন্দা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *