Durga Puja 2024,পুজোয় থামবে না প্রতিবাদ, পরিকল্পনায় ফের রাতদখল – rg kar protest continue during this durga puja


এই সময়: মণ্ডপে মণ্ডপে শেষবেলার ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। অনেকেই নেমে পড়েছেন কেনাকাটায়। পুজো আসছে। আর পুজোর এই চেনা ব্যস্ততার মধ্যেই এক অন্য পুজোর সন্ধানে প্রতিবাদীরা। উৎসবে মানুষ ফিরুন বা না ফিরুন, তাঁরা চাইছেন উৎসবেই জড়িয়ে থাকুক আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ। তাই একাধিক পরিকল্পনা চলছে শহর-শহরতলির নানা প্রান্তে।ইতিমধ্যেই শহর-শহরতলির অনেকগুলি প্রতিবাদের জায়গা ‘তিলোত্তমা চত্বর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন প্রতিবাদীরা। পুজোর সময়ে সেই সব জায়গার যেখানে সম্ভব, সেখানে জমায়েত হবে। যাদবপুর এইট-বি বাস স্ট্যান্ড রাতদখল থেকে একের পর এক প্রতিবাদের সাক্ষী। সেখানেও পুজোর চার দিন নানা সাংস্কৃতিক প্রতিবাদী জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই প্রতিবাদ শুরু হবে একেবারে দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই। মহালয়ার আগের রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ফের রাতদখলের পরিকল্পনা করছেন এই কর্মসূচির অন্যতম কারিগর শতাব্দী দাস এবং অন্যরা। শতাব্দী বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মহালয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বহু মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন যাতে দেবীপক্ষের সূচনাতেই ফের একটা রাতদখল হয়।’

তোর্সা চট্টোপাধ্যায়ের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্রী নিয়মিত প্রতিবাদে রাস্তায় আছেন। তাঁরা ডাক দিচ্ছেন, ‘এ বার পুজোয় আপনার শরীরই হোক পোস্টার’। কেমন সেই পরিকল্পনা? তোর্সারা মনে করছেন, পুজোর সময়ে পোস্টার মারা, গ্র্যাফিতি আঁকায় অসুবিধে হতে পারে। কিন্তু তিলোত্তমাকে ভুলতে দেওয়া যাবে না। সেই কারণে প্রতিবাদী মানুষ এমন পোশাক বেছে নিন যেখানে জাস্টিসের দাবি লেখা থাকবে। প্রয়োজনে তা টি-শার্ট হতে পারে বা হেড ব্যান্ড। সেখানে ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’-এর স্বর খোদাই করা থাকুক। যাতে মানুষ দেখলেই বুঝতে পারেন কী বলা হচ্ছে।

পুজো এসে গেল, কিন্তু কাস্টমার কই শপিংয়ে

আরজি করের সেই তরুণী চিকিৎসকের বাড়ি সোদপুরে। সেখানকার বাসিন্দারা লাগাতার প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। সেখানে বিভিন্ন পুজোর সামনে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপরে ‘তিলোত্তমা স্টল’-এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে ফেক নিউজ়ের বিরুদ্ধেও মানুষকে সচেতন করা হবে। কলেজ স্ট্রিট চত্বরেও বহু প্রতিবাদী পরিকল্পনা করেছেন জমায়েতের। হবে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।

অনেকে পরিকল্পনা করেছেন, জাস্টিসের দাবিতে যে সব স্লোগান মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে, সেগুলি বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে রেকর্ড করার। সেই ক্লিপিং ফোনের রিং-টোন করার অনুরোধ জানানো হবে। ইচ্ছুক পুজো কমিটিগুলি চাইলে তাদের মাইকেও যাতে বাজায়, থাকবে সেই আবেদনও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *