উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। সেই বছরেই স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি)-র আয়োজন করা হয়। ২ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নেন। ২০১৯ সালের ২৪ অগস্ট এসএসসি ইন্টারভিউ-এর তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই বছরই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এরপরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। মামলাটি গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। ২০২৩ সালে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়ে দেয়, কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি।
এরপর মামলাটি আসে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে অভিযোগ করা হয় ২০২৩ সালে ইন্টারভিউ থেকে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে।
গত ১৮ জুলাই মামলাটির শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে জানায়, ১ হাজার ৪৬৩ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ১৪ হাজার ৩৩৯ খালি পদের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ পদের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরপরেই শীঘ্রই নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সোমবার নোটিসে বলা হয়েছে প্রথম এসএলএসটি ২০১৬, আপার প্রাইমারি (প্যারা টিচারদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ছাড়া)-র প্যানেল প্রকাশিত করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। তারপর প্রথম দফার কাউন্সিলিংয়ের তারিখ দেওয়া হবে।