প্রায় ২ বছর পর মঙ্গলবার বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। শরীর ভালো নেই, বাড়িতে ঢোকার মুখে জানিয়েছিলেন তিনি। ওজনও কমেছে প্রায় ৩০ কেজি। বাড়িতে ঢোকার পর প্রায় ঘণ্টা দুয়েক খেয়েছিলেন শুধু লিকার চা এবং ওআরএস। তার পরে কী খেলেন কেষ্ট?অনুব্রত মণ্ডলের ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল বলেন, ‘দাদার শরীরটা ভালো নেই। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেয়েছেন। ভাত-মাছ-পোস্ত বড়া খেয়েছেন দুপুরে।’ পোস্ত যে অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত প্রিয়, তা সকলেরই জানা। অতীতে বীরভূমের দলীয় কার্যালয়ে কোনও ভোজ হলে পাতে পোস্ত পড়ত বাধ্যতামূলকভাবে। কেষ্টর ঘনিষ্ঠদের দাবি, বাড়িতে থাকাকালীন তিনি প্রতিদিন পোস্ত খেতেন। কিন্তু সুদূর তিহাড়ে বদলে গিয়েছিল অনুব্রতর খাবারের মেনু। বাড়ি ফিরতেই প্রথম দিনেই তার পাতে পড়ল প্রিয় খাবার।
গোরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বেশ কিছুদিন দিল্লির তিহাড় জেলে থাকতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই সময় বাঙালি খাবার পাতে পড়েনি তাঁর। তাওয়া রুটি, মোটা চালের ভাত অথবা পেঁয়াজ-রসুনের ফোড়ন দেওয়া খাবার পাতে পড়ত অধিকাংশ দিন। সেই খাবার যে মুখে রুচত না নেতার, তা জানাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মহলই।
গোরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বেশ কিছুদিন দিল্লির তিহাড় জেলে থাকতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই সময় বাঙালি খাবার পাতে পড়েনি তাঁর। তাওয়া রুটি, মোটা চালের ভাত অথবা পেঁয়াজ-রসুনের ফোড়ন দেওয়া খাবার পাতে পড়ত অধিকাংশ দিন। সেই খাবার যে মুখে রুচত না নেতার, তা জানাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মহলই।
এ দিন দাদার কথা বলতে গিয়ে চোখে জল দেখা গেল প্রিয়ব্রতের। কান্না জড়ানো গলায় তিনি বলেন, ‘গত দু’বছর পুজোর সময় দাদা ছিল না। আমাদের গ্রামের বাড়ির পুজোতেও কোনও আড়ম্বর হত না। কিন্তু এই বছর সকলে মজা করব।’ তিনি জানান, বাড়িতে পা রাখার পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা সকলের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। খোঁজ নেন আত্মীয়দের। এরপর বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন তিনি। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বার হননি অনুব্রত মণ্ডল। কবে তিনি দলীয় কার্যালয়ে পা রাখবেন, সেই দিকে তাকিয়ে অনুগামীরা।