সম্প্রতি অপর্ণা সেই টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। আর এরপরেই সোমবার রাতে কল্যাণী মাইতি ঘরের মধ্যে আত্মঘাতী হয় বলে দাবি পরিবারের। ঘটনায় মৃতার ছেলে সৌরভ মাইতি অভিযুক্তের নামে উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান একটা অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাটগাছা মিলন সঙ্ঘ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। যার সভানেত্রী হলেন অপর্ণা দাস। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে আছে স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠী। যার গ্রুপ লিডার ছিলেন কল্যাণী মাইতি। মৃত গৃহবধূর ছেলে সৈকত মাইতি অভিযোগ করেন, বছর খানেক আগে অপর্ণা মায়ের কাছ থেকে কয়েক দফায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ধার নেয়। যেটা মা স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছ থেকে নিয়ে অপর্ণা দাসকে দিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, অর্পনা দাস সেই টাকা যথাসময়ে ফেরত দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন।
তাঁর অভিযোগ, নিজের গ্রুপের সদস্যদের ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মা বেশ কিছুদিন ধরে অপর্ণা দাসের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইছিল। যদিও উনি ওই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এমনকী সম্প্রতি মায়ের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন অপর্ণা বলে দাবি। সৈকতের দাবি, সদস্যদের টাকা কী ভাবে ফেরত দেবেন এই ভেবে আতঙ্কে সোমবার রাতে মা আত্মঘাতী হযেছেন। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা জানাজানি হতে স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা অপর্ণা দাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত অপর্ণা দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।