ঘরে তখন কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং, রাজনগরের ব্লক সভাপতি সুকুমার সাধু ছাড়াও ঘনিষ্ঠ লোকজন। কথা চলছিল তাঁদের মধ্যে। হঠাৎ-ই আবেগঘন হয়ে পড়েন সুকন্যা। কাঁদতে থাকেন।
সামনে বসে থাকা সুদীপ্ত, রাজেন্দ্রকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কাকু, আমি তো রাজনীতি করি না। আমার কী দোষ ছিল।’ মেয়ের জেল-যন্ত্রণার কষ্টে তাঁর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে। দু’হাত দিয়ে চেপে ধরেন চোখ। পরে রাজেন্দ্রপ্রসাদ বলেন, ‘সতিই বলুনতো, ওই মেয়েটা কী অন্যায় করেছিল? খুব কাঁদছিল। দিল্লির ‘জল্লাদরা’ ওকে অন্যায় ভাবে শাস্তি দিয়েছে।’
তিহার থেকে বেরিয়ে বাবার জামিনের জন্য দিল্লিতে উকিলদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, টাকাপয়সার ব্যবস্থা করা, সব কাজই একা হাতে সামলেছেন সুকন্যা। দলের কাউকেই তেমন ভাবে পাশে পাননি। একা লড়াই করতে করতে অনেক পরিণত। ভালো-মন্দ সবটা বুঝেতে পেরে বাবার চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ এখন তাঁর হাতেই। কী খাবে, কোথায় কার সঙ্গে কথা বলবে, সব টাই। কেষ্টও ‘ঠকে’ শিখে এখন মেয়ের কথা শোনেন মন দিয়ে।
কেষ্টর বড়দা সুব্রতও সুকন্যার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরের মেয়েটার লড়াই একবার ভাবুন তো! ও তো রাজনীতির ধারে কাছে ছিল না। শুধু ওর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা থাকার অভিযোগে এত অত্যাচার।’ রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম করে তাঁর সংযোজন, ‘ওঁর মেয়ের নামেও তো অনেক টাকা আছে বলে শুনেছি। ওঁকে তো কিছু করছে না সিবিআই।’