ধনেখালি থানায় তখন সবাই ব্যস্ত। থানার ওসি টেবিলে বসে নিজের কাজ সামলাচ্ছেন। বাইরে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বেশ কয়েকজন অপেক্ষা করছেন। অন্যান্য অফিসাররা নানান কাজে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত। এমন সময় থানায় হাজির আট খুদে। তাদের একজনের হাতে একটা কাগজ। তাদের বয়স ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। বুধবার সন্ধ্যয় থানার গেট দিয়ে তারা যখন ঢুকছিল, তখন অনেকেই ভ্রু কুঁচকে ছিলেন।পরে ধনেখালি থানার ওসি প্রসেনজিৎ ঘোষের নজরে আসে বিষয়টি। তিনি খেয়াল করেন, তাদের হাতের কাগজে কিছু লেখা রয়েছে। তিনি তাদের নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। ঘরে ঢুকে টেবিলে সেই কাগজ রেখে দেয় তারা। ‘পুলিশ কাকু’ খুঁটিয়ে পড়েন কাগজের লেখা। চোখ কপালে ওঠে তার। মুচকি হেসে ডাকেন এক অফিসারকে।
পরে জানা যায়, ধনেখালি থানার কালিকাপুরের আট খুদে একটি ফুটবল পাওয়ার আর্জি নিয়ে বুধবার বিকেলে ধনেখালি বিডিও অফিস চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল। ধনেখালি পঞ্চায়েত সহ-সভাপতি সৌমেন ঘোষ এর কাছেও গিয়েছিল তারা। কিন্তু তখন সৌমেন প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত থাকার কারণে খুদেরা তাঁর দেখা পায়নি। পরে তারা যায় এক কিলোমিটার দূরের থানায়।
পরে জানা যায়, ধনেখালি থানার কালিকাপুরের আট খুদে একটি ফুটবল পাওয়ার আর্জি নিয়ে বুধবার বিকেলে ধনেখালি বিডিও অফিস চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল। ধনেখালি পঞ্চায়েত সহ-সভাপতি সৌমেন ঘোষ এর কাছেও গিয়েছিল তারা। কিন্তু তখন সৌমেন প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত থাকার কারণে খুদেরা তাঁর দেখা পায়নি। পরে তারা যায় এক কিলোমিটার দূরের থানায়।
ওসি তাদের থেকে জানতে চান, তারা বিডিও অফিসে ঘোরাঘুরি করছিল কেন? খুদেরা জানায়, তারা ফুটবল খেলতে ভালোবাসে কিন্তু তাদের বল নেই। তাদের সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ গল্প করেন ওসি। এর মধ্যে একটি ফুটবল ও কিছু চকলেট চলে আসে বুম্বা, সুনীল, নাসিরদের জন্য। ওসি ফুটবল তুলে দেন তাদের হাতে। সঙ্গে একটা করে চকোলেট। আর তা পেয়ে বেজায় খুশি খুদেরা।
মজা করেই তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোরা সবাই খেলাধুলা করিস তো? কোথায় খেলিস? একদিন যাব কেমন খেলিস দেখতে?’ খুদেরা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা সবাই খেলি। আমাদের খেলা দেখতে যাবেন। বল ফেটে গেলে কিন্তু আবার আসব।’ পরে খুদেদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন পুলিশ কাকু।