
পুজোর প্যান্ডেলের জন্য রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। কালীপুজো-জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত তা চলবে। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ — প্যান্ডেলের জন্য খোঁড়া গর্তে যাতে কোনও ভাবেই জল না জমে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মণ্ডপে ভিড় বেশি হয় বিকেলের পরে। সে কথা মাথায় রেখে সকালের দিকে ফগিং করার কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া, বাড়ি-বাড়ি জমা জলের খোঁজে অভিযান, ফাঁকা জায়গায় নজরদারিও চালাতে বলা হয়েছে পুরসভাগুলিকে।
পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেস্ট করাতে গিয়ে কেউ যাতে ফিরে না যান, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষত যে সব এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত বেশি, সেখানে বাড়তি নজর দেওয়ার কথা মনে করানো হয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষকে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘বৃষ্টির জলের সঙ্গেই নাগরিকদের একাংশের জল জমিয়ে রাখার জেরেও মশার বংশবৃদ্ধি হয়। সে জন্য পুজোর সময়ে বাড়ির পাশাপাশি প্যান্ডেলেও নজরদারি চালানো হবে।’
ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহ দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘গত বারের তুলনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এ বার কম ঠিকই। তবে, নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত যেহেতু ডেঙ্গির মরশুম থাকে, তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।’