স্কুল পালিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিল্ডিগড় কনক দুর্গামন্দির এলাকায় দুর্ঘটনা। শুক্রবার ডুলুং নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নামে ওই পড়ুয়া। সেই সময় প্রবল স্রোতে ভেসে যায় সে ও তার এক সহপাঠী। সহপাঠীকে স্থানীয় এক বাসিন্দা উদ্ধার করলেও কুমার মাঝি নামে ওই ছাত্রের খোঁজ মেলেনি। তার খোঁজে ডুবুরি নামানো হয়েছে।সূত্রের খবর, শুক্রবার ৭ জন পড়ুয়া স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু ক্লাস না করে তারা চিল্কিগড় কনক দুর্গা মন্দিরে বেড়াতে যায়। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডুলুং নদী। লাগাতার বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে নদীটির। স্রোতও যথেষ্ট বেশি ছিল। এই পড়ুয়ারা নদীতে স্নান করতে নামে। কিন্তু প্রবল জলের তোড়ে ২ জন তলিয়ে যায়। সেই সময় নদীতে স্নান করছিলেন গ্রামের এক বাসিন্দা। তিনি এক পড়ুয়াকে উদ্ধার করলেও কুমার তলিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনি থানার পুলিশ। কুমার মাঝির পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সকলেই ঝাড়গ্রাম শহরের বামদা এলাকার বাসিন্দা। তারা সকলেই বাণীতীর্থ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া।
কুমার মাঝির বাবা মিঠু মাঝি বলেন, ‘ভূগোলের প্রজেক্ট জমা দিতে হবে বলে ও সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার এই পরিকল্পনা জানা ছিল না। যদি জানতাম তাহলে ওকে এখানে আসতে দিতাম না। সামনেই মাধ্যমিক। ছেলে বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা করত। আর মাঝে মাঝে গানবাজনা নিয়ে মেতে থাকত। ও যে এভাবে স্কুল কামাই করে বেড়াতে আসবে তা ভাবতেও পারছি না।’
কুমার মাঝির বাবা মিঠু মাঝি বলেন, ‘ভূগোলের প্রজেক্ট জমা দিতে হবে বলে ও সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার এই পরিকল্পনা জানা ছিল না। যদি জানতাম তাহলে ওকে এখানে আসতে দিতাম না। সামনেই মাধ্যমিক। ছেলে বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা করত। আর মাঝে মাঝে গানবাজনা নিয়ে মেতে থাকত। ও যে এভাবে স্কুল কামাই করে বেড়াতে আসবে তা ভাবতেও পারছি না।’
ওই স্কুল পড়ুয়াকে উদ্ধার করার জন্য ডুবুরি নামানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শনিবার নদীতে স্পিডবোট নামিয়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।