Sagar Dutta Medical College,মহিলা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ, কর্মবিরতি সাগর দত্ত হাসপাতালে – sagar dutta hospital junior doctors is protesting from today morning


কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে ফের কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের। শুক্রবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় হাসপাতাল। মৃত রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আর এরই প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁরা সকাল থেকে বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকের পর তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন।সূত্রের খবর, হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা রঞ্জনা সাউ (২৯) গত ৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ দিন দুপুরে তাঁকে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। অভিযোগ, এরপরেই চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন রঞ্জনার আত্মীয়রা। রোগীকে না দেখেই ইসিজি এবং এক্স-রে করতে পাঠান ডাক্তাররা, অভিযোগ এমনটাই। শুধু তাই নয়, পরিবারের অভিযোগ ছিল, ইসিজি করে আনার পরও বহুক্ষণ রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। রঞ্জনার প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে একজন চিকিৎসক আসেন। কিন্তু মহিলাকে বাঁচানো যায়নি।

অভিযোগ, এরপরেই হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন। ৩ জন জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকেও হেনস্থা করার অভিযোগও ওঠে। ২ ওয়ার্ড বয়কেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গোলমালের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বড় বাহিনী। এসিপি (বেলঘরিয়া) শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাসপাতালে যান। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েকজনকে আটক করেছে।

হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, রোগীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। মহিলা ওয়ার্ডের ৩ জন জুনিয়র ডাক্তার তাঁকে দেখছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তিনি মারা যান। তার জেরে মৃতার পরিজন ৩ মহিলা চিকিৎসক, ২ স্বাস্থ্যকর্মীর উপর হামলা করেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

‘আরজি কর করে দেবো’, মালদার হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়ের ‘তাণ্ডব’, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

এই ঘটনার পরেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনার সময় পুলিশ থাকলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ। এরপরেই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দেন। শুধু চিকিৎসকরা নন, নার্সরাও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। চিকিৎসক. নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক, এই দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *