বোমা বিস্ফোরণে গত মঙ্গলবার কেঁপে উঠেছিল উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের তপনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর রথতলা এলাকা। শনিবার দুপুরে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড। ঘটনাস্থল থেকে এ দিন সাতটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে ভেঙে পড়া টালির চালের কাঠামো সরিয়ে বোমা খোঁজেন এই টিমের সদস্যরা। এরপরেই একে একে সাতটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।বোমা উদ্ধারের কাজ চালানোর সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এমনকী, পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবার গোটা এলাকা ছিল থমথমে। মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী। সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি নন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, মঙ্গলবার বিকট আওয়াজ শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম একসঙ্গে অনেকগুলি বোমা ফেটেছে। এরপর ভয়ে রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি। ঘটনার পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নতুন করে সেখান থেকে বোমা উদ্ধার হওয়ায় গ্রামবাসীদের আতঙ্ক বেড়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ফতেপুর রথতলায় শেখ সামসুরের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘরে। এই ঘটনায় তাঁর ছেলে, ভাইপো-সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনায় ইতিমধ্যে পূর্ব বাউড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ফতেপুর রথতলায় শেখ সামসুরের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘরে। এই ঘটনায় তাঁর ছেলে, ভাইপো-সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনায় ইতিমধ্যে পূর্ব বাউড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বোমা বাঁধতে গিয়ে এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান। বেআইনিভাবে বোমা বাঁধছিল শেখ সামসুর, মনে করছেন তদন্তকারীরা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস জানিয়েছিল, এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছিলেন। মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।